শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় চবির উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মহান আত্মত্যাগ হৃদয়ে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সকাল ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ করে দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।।

পরে মাননীয় উপাচার্র্য চ.বি. বঙ্গবন্ধু চত্বরে মহাকালের মহানায়ক স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মাননীয় উপাচার্যের পর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চ.বি. শিক্ষক সমিতি, অনুষদসমূহের ডিনবৃন্দ, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, সভাপতি-পরিচালক ফোরাম, অফিসার সমিতি, চ.বি. ক্লাব (ক্যাম্পাস), সমন্বয় কর্মকর্তা বিএনসিসি, চ.বি. ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, কর্মচারি সমিতি, কর্মচারি ইউনিয়ন, সাংবাদিক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কর্মসূচির অংশ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করা হয় এবং সকাল ৯ টায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

2 (10)

‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যবর্গ, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশলক্ষ বীর বাঙালি, শহীদ জাতীয় চারনেতা এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্র চিত্তে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া-জননী-কন্যার প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেন। মাননীয় উপাচার্য বলেন, ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্যতম, নৃশংস, নির্মম, ন্যাক্কারজনক ঘটনা হলো বুদ্ধিজীবী হত্যা। বুদ্ধিজীবীরা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির পথ প্রদর্শক। পরাজয় নিশ্চিত জেনে স্বাধীনতার পরেও যেন বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারে সেই নীল নকশা বাস্তবায়নে দেশকে মেধাশূন্য করতে রাজাকার-আলবদরসহ দেশীয় দোসরদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হায়নার দল এই নির্মম হত্যাকান্ড সংঘটিত করে।

তিনি বলেন, সেই সকল ঘৃণ্য অপরাধীরা আজ নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে। বাংলাদেশ আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া, মানবতার জননী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তি ও উন্নয়ন আগ্রগতিতে বিশ্বে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়েছে। মাননীয় উপাচার্য জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের এই মহান আত্মত্যাগ সকলকে হৃদয়ে ধারণ করে সকলের কাঙ্খিত বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিবেদিত প্রাণে স্ব স্ব অবস্থান থেকে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব কে এম নুর আহমদ। এ ছাড়াও আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সহিদ উল্যাহ ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী, সিনেট সদস্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, শহীদ আবদুর রব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. এ কে এম মাঈনুল হক মিয়াজী, সংগীত বিভাগের সভাপতি প্রফেসর সুকান্ত ভট্টাচার্য, অফিসার সমিতির সভাপতি জনাব এ কে এম মাহফুজুল হক, চবি ক্লাব (ক্যাম্পাস ও শহর) এর পক্ষে জনাব সুলতানা সুকন্যা বাশার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, চবি-এর সাধারণ সম্পাদক জনাব মশিবুর রহমান।