এইচআইভি থেকে রক্ষা পেল ৬৯ শিশু

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ৬৯ শিশুকে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এসব তথ্য জানান।

বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ’।

হাসপাতালটিতে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত ৯১ জন গর্ভবতী মা বিশেষ সেবার অধীনে আছেন। যাদের মধ্যে ৭৫ গর্ভবতী মা সন্তান প্রসব করেছেন। তাদের থেকে ৬৯ শিশুকে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। যারা নিরাপদ জীবন-যাপন করছেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (ন্যাশনাল এইডস এসটিডি কন্ট্রোল) আমিনুল ইসলাম মিয়া।

অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, এইচআইভিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ে সংশ্লিষ্ট সব মানুষকে রেপিড টেস্টের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এইচআইভিতে বা এইডসে আক্রান্তদের মৃত্যুহার শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে এইচআইভিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান পোস্টগ্রাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয়। যেখান থেকে বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে রোগীদের সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়। ১৯৮৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগ দেশে প্রথম এইচআইভি শনাক্ত করে।

অন্য বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না। সরকারি পর্যায়ে প্রথমবারের মতো গত ২০১৩ সালের ১৬ মে থেকে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সেবা প্রদান অবস্ অ্যান্ড গাইনি বিভাগের মাধ্যমে শুরু হয়। যা এখনো অব্যাহত আছে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এআরভি প্রদান ও সব রোগের যথাযথ চিকিৎসা সেবার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট ১২৫৯ জন রোগী এআরভি নিয়েছেন।