থানায় নিয়ে কলেজছাত্রীকে নির্যাতন

পশু-চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদ করায় ভারতের তেলেঙ্গানার কলেজছাত্রী অনুকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে দেশটির পার্লামেন্টের সামনে একাই প্রতিবাদ করেন অনু। এসময় তার হাতে থাকা একটি ছেঁড়া প্ল্যাকার্ডে লাল রঙে লেখা রয়েছে— ‘কেন? আমি আমার নিজের ভারতে নিরাপদ নই’। তবে সংসদ ভবনের সামনে প্রতিবাদ করার সময় তাকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার খবরে প্রকাশ করে জানিয়েছে, থানায় অনুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে ‘সংসদের আশেপাশে আর প্রতিবাদ করব না’— এই মুচলেকা দেয়ার আগে অনুকে ছাড়েনি পুলিশ।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনু কোনো স্লোগান দেননি। বসে ছিলেন নীরবে। এসময় পুলিশ তাকে চলে যেতে বলে। তিনি যেতে না চাইলে তুলে
নিয়ে যাওয়া হয় পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায়।

দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালের অভিযোগ, থানায় একটি খাটের ওপর অনুকে ফেলে তার ওপরে চড়ে বসেন তিনজন নারী পুলিশ।

স্বাতী বলেন, ‘মেয়েটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন আমি দেখেছি। দিল্লি পুলিশকে নোটিশ দিচ্ছি। ওই তিন পুলিশকর্মীকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে।’ থানা থেকে বের হওয়ার পর অনুর হাতে ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে বলেও তিনি জানান।

এসময় সাংবাদিকরা এগিয়ে এসে তার বিষয়ে জানতে চাইলে অনু বলে ওঠেন, ‘আপনারা আমার কথা জিজ্ঞাসা করছেন কেন? আমি শুধু আমার জন্য আজ এখানে আসিনি। ওই মেয়েটা মরে গেল। কাল আমি পুড়ে মরতে চাই না।’

পুলিশ বক্তব্য, সংসদ ভবনের সামনের জায়গায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নিষিদ্ধ।