‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার রোধে ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ এই শিরোনামে খুব শিগগির একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।বুধবার রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক বলেন, ‘এর আগে পদ্মা সেতুর উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করার জন্য এক প্রকার পরিকল্পিত মিথ্যা ছড়ানো হয়েছিল। এটাকে পরিকল্পিত বলছি, কারণ গুজব বিষয়টা এমনি এমনি ছড়িয়ে যায়। কিন্তু কেউ যদি পরিকল্পনা করে সুনির্দিষ্টভাবে সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র করে তাহলে সেটাকে আর গুজব বলা চলে না। এটা পরিকল্পিত মিথ্যাচার।’

অপপ্রচার চালিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘অপপ্রচারগুলো একের পর এক ষড়যন্ত্র করে ঘটানো হচ্ছে। রামু থেকে শুরু করে ভোলা, এরপর নাসিরনগরের ঘটনা। সরকারের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাধাগ্রস্ত করা এর অংশ। সম্প্রতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো নিয়ে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র। এছাড়া যানবাহন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এইগুলো নিয়ে চলছে ষড়যন্ত্র। এসবই একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ঘটাচ্ছে।’

গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের কথা জানিয়ে পলক বলেন, গত আট মাসে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সেখানে সরকার এবং দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া গেছে। তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই ঘটনালগুলোর সাথে যারা জড়িত তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওপেন ডেটা এনালাইসিস সূত্র ব্যবহার করে কোথায় থেকে এই অপপ্রচারগুলো ছড়ানো হচ্ছে, সেটি জেনে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টাও চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তারাই এই অপপ্রচার রোধ করতে সরকারকে সহায়তা করতে পারেন। দেশের সাড়ে ৩ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, কোন কিছু শেয়ার করার আগে তা যাচাই করুন। এছাড়া অপপ্রচার রোধে ‘সত্যমিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ শিরোনামে আইসিটি বিভাগ একটি ক্যাম্পেইনের আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি।

অপপ্রচার রোধে আইসিটি ডিভিশনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে জুনাইদ আহমদ পলক বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন, আমরা সবাই শিলে আমাদের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমাদরে সাইবার সিকিউরিটি আরো স্ট্রং করার পরিকল্পনাও রয়েছে। তবে আপাতত আমরা ডিজিটাল অ্যাওয়ারনেসের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, যারা দেশের মধ্যে থেকে অপপ্রচার করছেন তাদের চিহ্নিত করার ব্যবস্থা এবং সরঞ্জামাদি সরকারের সংস্থাগুলোর রয়েছে। এরমাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আটক করতে সক্ষম। কিন্তু যারা দেশের বাহির থেকে অপপ্রচার করেন তাদের চিহ্নিত করা গেলেও আটক করতে পারছি না। কারণ বিদেশি অপরাধীদের আটক করার বিষয়টি অনেক জটিল। তবে যে আইডিগুলো থেকে অপপ্রচার করা হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছি।