শিগগিরই ঢাবি ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব আসছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃত্ব শিগগিরই আসছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু দিয়েছে ছাত্রদলের নীতি-নির্ধারকেরা। সংগঠনের মধ্যে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে তরুণ, মেধাবী ও রাজপথের পরিক্ষিতদের দিয়ে কমিটি পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষা, ঐক্য, প্রগতির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ছাত্রদল। মূূল সংগঠন বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় না থাকার কারণে সংগঠনটিকে বর্তমানে অনেক চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে সময় পার করতে হচ্ছে। তবে ১৯৯২ সালে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রুহুল কবির রিজভী ও এম ইলিয়াস আলী সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার ২৭ বছর পর অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে সরাসরি ভোটে চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।

সংগঠনটির শীর্ষ নেত্বেত্বে ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল আসার পর থেকে তারা চেষ্টা করছেন অতীতের সঙ্কট সমাধান করে সংগঠটির হাল ধরতে। এর ধারাবাহিকতায় খুব শিগগিরই ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার কমিটি হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ নেতারা প্রস্তুতি শুরু করেছেন। এর আগে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রয়ারি। কমিটির বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন সভাপতি আল মেহেদি তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান। তবে ২০১৬ সালে কমিটি দেওয়ার সময়ে সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল বাশার সিদ্দিকি থাকলেও দলের বির্তকিত কর্মকাণ্ডের জন্যে তিনি সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। তার অবর্তমানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন হাফিজুর রহমান।

সংগঠনের একাধিক নেতৃবৃেন্দর সাথে কথা বলে জানা যায়, খুব শিগগিরই ঢাবি ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব আসছে। ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্বের জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সংঠনটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতবৃন্দ।

জানা যায়, এবাবের কমিটিতে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে আহ্বায়ক কমিটির প্রার্থী বাছাই ইতোমধ্যে শুরু করেছেন শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের (ঢাবি) এবারের কমিটি হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটারদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। যার জন্যে গত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় আহ্বায়ক কমিটিতে একজন আহ্বায়ক, একজন সদস্য সচিব, কিছু যুগ্ম আহ্বায়ক সহ একাধিক সদস্য স্থান পাবে। এই আহ্বায়ক কমিটির ওপরই ন্যাস্ত থাকবে হল কমিটি গঠনের। তবে হল কমিটি কীভাবে হবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও হল শাখার কমিটি হওয়ার পরে আহ্বায়ক কমিটির সকল সদস্য ও হল শাখার কিছু সদস্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ভোটার হবেন। তাদের ভোটেই আসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামীর নেতৃত্ব।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ের এক ছাত্রদল নেতা জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠনের প্রস্ততি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হবে। এই আহ্বায়ক কমিটি পরে হল কমিটি দিবে। আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও হল কমিটির কিছু সদস্যকে নির্বাচনের জন্য ভোটার করা হবে। তাদের ভোটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।’

এ বিষয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির জন্য প্রথমে আহ্বায়ক কমিটি করা হবে। পরে তারা হল কমিটি দিবেন। কমিটির কাজ চলছে।’