এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্টদের মিলনমেলা বসবে ঢাকায়

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৮তম এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরাম-২০১৯ (এইউপিএফ-২০১৯)। আগামী শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর র‌্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ ফোরামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এইউপিএফ-২০১৯ এর আয়োজন করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এতে সহায়তা করছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

এইউপিএফ-২০১৯-এর আহ্বায়ক ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুব-উল-হক মজুমদার। এইউপিএফ-২০১৯ আয়োজন বিষয়ে  দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ ফোরাম অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যোগাযোগ বাড়বে। শুক্রবার অনানুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হবে ফোরামের। তবে আগামী শনিবার সকালে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এইউপিএফ-২০১৯-এর প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ওয়ার্ল্ড বিজনেস এনজেলস ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের চেয়ারম্যান বেবারস্ আলতুনতাস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন। এছাড়া ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ।

চীন ও থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক থেকে ১৯৯৯ সালে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট ফোরাম (এইউপিএফ) যাত্রা করে। দেশ দুটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রেসিডেন্টরা যাতে সহজেই নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারেন, এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সিনো-থাই হায়ার এডুকেশন ইনস্টিটিউশনে একটি সম্মেলন করার জন্য চীনের গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ, চাওশান কলেজ, থাইল্যান্ডের শ্রীনাখারিনউইরট ইউনিভার্সিটি ও সিয়ামস ইউনিভার্সিটি সম্মিলিতভাবে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে। সে থেকে প্রস্তাবিত সম্মেলনটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় এবং এর মাধ্যমে গোটা এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রেসিডেন্টদের এতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০১২ সাল থেকে এইউপিএফের কার্যক্রমে যুক্ত হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বর্তমানে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস ফোরামের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য।