পেঁয়াজ বর্জনের শপথ সাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং সাতদিন পেঁয়াজ বর্জনের আহ্বান জানিয়ে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোক্তা অধিকার বিষয়ক বেসরকারি সংস্থা কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) ও এর যুব শাখা কনজুমার ইয়ুথ বাংলাদেশের (সিওয়াইবি) উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ মানববন্ধন ও পেঁয়াজ বর্জনের শপথ অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি সিসিএস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুলাই থেকে আগস্ট এই চার মাসে পেঁয়াজের অব্যাহত দাম বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এজন্য সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় সংস্থাটি। গত ৩ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রতিবেদনে এটা প্রকাশ করা হয়।

দেশে দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধি হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়া এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় এ মানববন্ধন ও পেঁয়াজ বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করে সংস্থাটি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে ১টার মধ্যে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন এ মানববন্ধন করেন।

১. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে বেলা ১২টার দিকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। মানববন্ধনে সিওয়াইবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হকসহ সিওয়াইবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

২. ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়: ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলা ১২টার পর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। অন্যান্যদের মধ্যে সিওয়াইবির ইবি শাখার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মেহের আলী, সভাপতি শামিমুল ইসলাম সুমন, সহসভাপতি রাশেদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ইউসুফ, অর্থ সম্পাদক সাজেদা আক্তার জলি, সহঅর্থ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হাসান, নিরাপদ খাদ্য সম্পাদক ইজাবুল বারী, প্রচার সম্পাদক সাইফুল, সহপ্রচার সম্পাদক মাইনুল রেজা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্রী বিকাশ চন্দ্র রায়, কার্যনির্বাহী সদস্য আশিকুর রহমান, জনি, আশরাফুল ইসলামসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

৩. সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্স্ট গেইটে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে মানববন্ধন শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে সিওয়াইবির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সহসভাপতি মিল্টন রায়, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম ও অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যরাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

৪. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিওয়াইবির উদ্যোগে বেলা ১২টার দিকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে সিওয়াইবির বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি হাফিজুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম তিমুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

৫. নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: নোবিপ্রবির শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বেলা ১ টায় ৩০ মিনিটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। অন্যান্যদের মধ্যে সিওয়াইবির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বিএলডাইব্লিউএস বিভাগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিওয়াইবির নোবিপ্রবি শাখার সভাপতি মাইনুদ্দীন পাঠান, সহসভাপতি শ্রীভাস মজুমদার, শাহাদাত হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সৈকত, দপ্তর সম্পাদক ফাহিম, ট্রেজারার রমজান আলি, এসিস্ট্যান্ট ট্রেজারার আবুল বাশার, খেলাধূলা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক দীগন্ত ইসলাম ও কার্যকরী সদস্য সাইদুজ্জামান প্রমুখ।

৬. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের: জাককানইবির জয় বাংলা ভাস্কর্যের সামনে দুপুর ১টার দিকে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাককানইবি শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সিওয়াইবির সভাপতি আদীব রাহেমান, সাধারণ সম্পাদক সিফাত শাহরিয়ান প্রিয়ানসহ এক্সিকিউটিভ সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক, ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা অংশ নেন।

৭. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: হাবিপ্রবির ২য় গেইটের সামনে বেলা ১২টার পর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৩৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন, সিওয়াইবির হাবিপ্রবি শাখার সভাপতি মো. রাসেল রাজু, সহসভাপতি রাশেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার ও সোলাইমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর, সহসাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিক, ট্রেজারার তানভীর আহম্মেদ, অফিস সম্পাদক মোস্তফা, সহকারী অফিস সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ।