৪৯৮ একর জমি পেল শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়

নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহনকৃত ৪৯৮ দশমিক ৪৫ একর জমির দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট জমি হস্তান্তর, চেক বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বলেন, “শেখ হাসিনা দেশের অনেক উন্নয়ন করেছেন। অবহেলিত এ এলাকার যোগাযোগ, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে আমরা বলতে পারি আমাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিও। ভারত আমাদের পরে তাদের দেশ ডিজিটাল ঘোষণা করেছে।”

“বাংলাদেশ এখন বিশ্বকে ডিজিটালের পথ দেখায়। পৃথিবী এখন ৪র্থ বিপ্লবের দ্বার প্রান্থে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু ছকের ভিতরে থেকে লেখাপড়া সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। নানা দিকে জ্ঞান লাভ করতে হবে। দেশের ১১ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ও আছে। এক সময় আমরা পিছনে পড়ে ছিলাম। আর পিছনে থাকতে চাই না। আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু সার্টিফিকেট গ্রহনের জন্য পড়ালেখা করলেই চলবে না। তাদেরকে আগামী ৪র্থ বিপ্লব মোকাবেলার জন্য তৈরী হতে হবে। জেলায় ডিজিটাল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তিগত জ্ঞান লাভ করলে দেশে বেকারত্ব অনেক কমে যাবে।

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মো. রফিকউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতিক), প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী, নেত্রকোনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খান, নেত্রকোনা পৌর সভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খান, নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম বজলুল কাদের শাহজাহান, নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, সাংবাদিক এম মুখলেছুর রহমান খান প্রমুখ।

 পরে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।