মুসলিম বাদে অন্যদের নাগরিকত্বে ফের বিল আনছে বিজেপি

রাষ্ট্রহীন হিন্দুদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশনে একটি নাগরিকত্ব সংশোধন বিল উঠানোর পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। কার্যত আসামের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়া অমুসলিম শরণার্থীদের বৈধতা দিতেই এ সংশোধনী আনা। দেশটির সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে এমনটা জানানো হয়।

আগামীকাল সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া শীতকালীন অধিবেশনের কর্মসূচিতেই বিতর্কিত এ বিলের উল্লেখ করা হয়েছে। এটি আগেও একবার পেশ হয়েছিল। কিন্তু আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তখন সেটি পাস করানো যায়নি।

পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকদের সন্তানের শিক্ষা ভাতা কর্তন

ওই পার্লামেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে ফের পার্লামেন্টে উঠতে যাচ্ছে বিলটি। আগামী ১৩ ডিসেম্বর শেষ হতে যাওয়া শীতকালীন অধিবেশনে নাগরিকত্ব বিলের পাশাপাশি আরও ৩৪টি বিল আনা হচ্ছে পার্লামেন্টে।

নাগরিকত্ব বিলটি পাস হলে ভারতের নাগরিকত্ব আইনে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এর আওতায় বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান, জৈন ও পার্সি ধর্মাবলম্বী, যারা কথিত ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে গিয়ে স্থায়ী হয়েছে, তারা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারবে।

পড়ুন: বিকল্প জমিতে মসজিদ নয়, স্কুল চান সালমানের বাবা

প্রথম দফায় এ বিলটি পাসের উদ্যোগ নেয়া হলে এর বিরুদ্ধে আসাম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। প্রতিবাদে নেমেছিল অসমিয়া জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলো। রাজ্যেগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরাও প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন।

এবারও বিল পেশের খবর বেরোতেই আসামের নানা জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। যেসব সংগঠন ইতিমধ্যে রাজপথে নেমেছে, তার মধ্যে অন্যতম কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি।

পুড়ন: মসজিদের পরিবর্তে বিকল্প জমির প্রশ্নই ওঠে না: আরশাদ মাদানী

এ নিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব রাতুল হোসেইন বলেন, ‘ভারতীয় সংবিধানের মূলমন্ত্র হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। কিন্তু এ বিলে সেটাকেই ধ্বংস করে হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা হচ্ছে। এদেশের নাগরিকত্ব পেতে ধর্ম কোনো ভিত্তি হতে পারে না, আর এই বিলে সেটাই করা হচ্ছে।’

রাতুল হোসেইন আরো বলেন, ‘আসামের নাগরিক তালিকায় (এনআরসি) যে ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে, তাদের মধ্যে বেছে বেছে মুসলমান ছাড়া অন্যদের নাগরিকত্ব দিতেই এ বিল আনা হচ্ছে।’

আরো পড়ুন:

তেলচিত্রে শাখারি বাজার, বর্ষসেরা ঢাবি ছাত্রের ছবি

ঘাতক শামীমকে টিউশন দিয়েছিল আবরার

রাজধানীর সরকারি হাই স্কুলে ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা