বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় রাবির মাস্টার্স পাস সবুজ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য ইংরেজিতে মাস্টার্স পাস করেছেন সবুজ আলী। পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার সময় আটক হন। শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে বসেন তিনি। 

আটক সবুজ আলী নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ভারাবাড়ি গ্রামের মো. সাইদুর রহমানের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য ইংরেজিতে মাস্টার্স পাস করেছেন।

জানা যায়, পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসসহ শহরের ১৫টি কেন্দ্রে শুক্রবার সকালে ‘এ’ ইউনিট এবং বিকেলে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনষ্ঠিত হয়। বিকেলে ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে শহরের সেন্ট্রাল গার্লস হাইস্কুল কেন্দ্রে তওসিফ ইসলামের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন সবুজ আলী। 

অপরদিকে তাওসিফ ইসলাম পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লার মো. ফরিদুল ইলামের ছেলে।

প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার সময় সবুজ আলীকে আটকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রীতম কুমার দাস জানান, পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শক দেখতে পান তাওসিফ ইসলামের প্রবেশপত্রে সংযুক্ত ছবির সঙ্গে যে পরীক্ষা দিচ্ছেন তার চেহারার কোনো মিল নেই। এ সময় হল পরিদর্শক তাকে চ্যালেঞ্জ করে পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করেন। পরে কেন্দ্র ইনচার্জ এমএম হাসান ইকবাল তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।

আটক সবুজ আলী পুলিশের কাছে বার বারই নিজের পরিচয় গোপন করছিলেন বলে জানান পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহম্মদ। তিনি বলেন, আটক ওই পরীক্ষার্থী পুলিশের কাছে বার বারই নিজের পরিচয় গোপন করছিলেন। পরে সন্ধ্যায় পুলিশের একটি টিম তাকে নিয়ে পাবনা শহরের রাধানগর মহল্লায় মূল আবেদনকারী তাওসিফের বাড়িতে গিয়ে পুরো জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাট করেন।

পুলিশ আরও তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন ওসি নাসিম আহম্মদ। তিনি জানান, তখন আটক যুবক নিজেকে সাগর বলে পরিচয় দেন। কিন্তু রাত ৯টায় পুলিশের আরও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সাগর নয়, সবুজ আলী বলে নিশ্চিত করেন। তিনি টাকার বিনিময়ে তাওসিফ ইসলামের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। সাব্বির নামে পাবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী তাকে টাকার বিনিময়ে এই পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ করেন। সাব্বিরের পরিচয়সহ এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করতে আরও তদন্ত করা হচ্ছে।