ঢাবিতে ৪ দিনব্যাপী ‘গণরুম-গেস্টরুম এবং সন্ত্রাসবিরোধী স্থিরচিত্র প্রদর্শনী’ শুরু আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে যুগ যুগ ধরে চলে আসা সরকারি ছাত্র সংগঠনের নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে মুক্ত করতে ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ মঞ্চ কাজ করছে। ঢাবির আবাসিক হলগুলোতে প্রশাসনের মাধ্যমে বৈধভাবে সিট প্রদান, গেস্টরুম নামক টর্চার সেল বন্ধ করাসহ ৬ দফা দাবিতে সোচ্চার এই মঞ্চের কর্মীরা। এবার তারা আয়োজন করতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী ‘গণরুম-গেস্টরুম এবং সন্ত্রাসবিরোধী স্থিরচিত্র প্রদর্শনী’।

আজ শনিবার থেকে ক্যাম্পাসের কলা ভবনের প্রক্টর অফিসের সামনে শুরু হওয়া ৪ দিনব্যাপী এই আয়োজনের প্রথম দিন থাকছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং শিক্ষকদের সংহতি বক্তব্য। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ আয়োজনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্যে রাখবেন-ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক ড. কামরুল হাসান মামুন, ড. মোহাম্মদ তানজিমউদ্দিন খান, ড. মো. আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ প্রমুখ।

আয়োজনের দ্বিতীয় দিন ১৭ নভেম্বর থাকছে বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্রনেতাদের বক্তব্য, তৃতীয় দিন ১৮ নভেম্বর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামত ও মুক্ত আলোচনা এবং চতুর্থ ও শেষ দিন ১৯ নভেম্বর থাকছে আকিঁবুকিঁ লেখাজোকা (নিপীড়ন নিয়ে আকাঁ ছবি ও লেখা সংগ্রহ)। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের না বলা কথাগুলো ড্রপ করার জন্য থাকছে বাক্স, সেখানে তাদের কথাগুলো জানাতে পারবে।

এ বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে ‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক আরমানুল হক বলেন, যুগে যুগে আবাসিক হলগুলোতে সরকারি মদদপুষ্ট ছাত্র সংগঠন যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে, তা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। কারণ প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব যোগ্যতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে এবয় তাদের ১ম বর্ষ থেকে বৈধ সিটে থাকার অধিকার রয়েছে।

‘বৈধ সিট আমার অধিকার’ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক আরমানুল হক জানান, তারা ৬টি দাবি নিয়ে আন্দোলন পরিচালনা করছে। আবাসিক হলে ১ম বর্ষ থেকে বৈধ সিটের নিশ্চয়তা প্রদানসহ ৬ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- গেস্টরুম নামক টর্চার সেল সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে, হলে অবস্থানরত অবৈধ এবং অছাত্রদের হল ত্যাগে বাধ্য করতে হবে, পলিটিক্যাল গণরুম সম্পূর্ণ বাতিল করতে হবে, সিট বরাদ্দে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলবে না, পলিটিক্যাল রুমের নামে রুম দখল চলবে না।

মঞ্চের আরেক সদস্য উমামা ফাতেমা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা কারও মদদপুষ্ট হয়ে কাজ করিনা, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করছি।