ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট এটি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দলের অভিষেক ম্যাচে এই সংস্করণে বাংলাদেশের ১১তম অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের।

ঘরের মাঠে ভারত একরকম অপ্রতিরোধ্য। দেশের মাটিতে টানা ১১ টেস্ট সিরিজ জয়ের অনন্য রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের মুখোমুখি হচ্ছে বিরাট কোহলির দল। 

আগেরদিন ভারতের সহ-অধিনায়ক আজিংকা রাহানে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ খুবই ভালো দল। আমরা তাদের হালকাভাবে নিচ্ছি না। সমীহ করছি।’

বুধবার ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বললেন। তবে সেসব তার মনের কথা নাকি ক্রিকেটীয় ভব্যতা, বলা মুশকিল।

টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড বড়ই বিবর্ণ। তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজে বাংলাদেশ বুক চিতিয়ে লড়াই করলেও সাদা পোশাকের চ্যালেঞ্জটা ঢের কঠিন। সময়ের সবচেয়ে ধারাবাহিক টেস্ট দল ভারত।

এ যেন দৈত্য গোলিয়াথ ও পুঁচকে ডেভিডের সেই চরম অসম লড়াই। ভারত যেখানে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে, বাংলাদেশ সেখানে পড়ে আছে নয় নম্বরে। মুখোমুখি লড়াইয়ের চিত্রও একতরফা। আগের নয় টেস্টের দুটি বৃষ্টির সৌজন্যে ড্র হয়েছিল।

বাকি সাতটিতেই বাংলাদেশ হেরেছে বড় ব্যবধানে। দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সফলতম ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল না থাকায় আশার জায়গা এবার আরও কম। তবে এটাই হতে পারে বাংলাদেশের তুরুপের তাস!

প্রত্যাশার কোনো চাপ না থাকায় এই সিরিজটা নিজেদের মেলে ধরার দারুণ সুযোগ হতে পারে বাংলাদেশের জন্য। আর প্রেরণা হিসেবে থাকছে একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। ইন্দোর টেস্ট দিয়েই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের।

২০০০ সালের ১০ নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। ১৯ বছর পর আরেক নভেম্বরে আরেকটি নতুন যাত্রার শুরুতেও প্রতিপক্ষ সেই ভারত।

অভিষেক টেস্টে সব প্রত্যাশা ছাপিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪০০ রান। ভারতের বিপক্ষে যা এখনও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এবারও অভাবনীয় কিছুর সুপ্ত আশা তাই থাকছে। 

সাকিবের ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসায় হুট করে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পাওয়া মুমিনুল গুরুদায়িত্বটাকে চাপ হিসেবে নিচ্ছেন না, ‘আমি আক্রমণাত্মক খেলা পছন্দ করি। অধিনায়ক হিসেবেও আক্রমণাত্মক হতে চাই।

এতে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে। নেতৃত্ব আমার জন্য কোনো চাপ নয়। এটা বরং দারুণ সুযোগ। ইতিবাচক থেকে দল ও দেশের জন্য কিছু করতে চাই।’