নিজের বাল্যবিয়ে বন্ধ করল তিন ছাত্রী, পড়াশোনা করাবেন সাংসদ

নাটোরের গুরুদাসপুরে চাঁচকৈড় শাহিদা কাশেম পৌর বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী নিজের বাল্যবিয়ে নিজেরাই বন্ধ করেছে। সাহসিকতার গৌরব অর্জন করায় ওই তিন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার যাবতীয় খরচ বহন করার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো. আব্দুল কুদ্দুস। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় তিনি ওই ঘোষণা দেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেগার সুলতানা বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতায় বিয়ে বন্ধ হওয়ায় তারা যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। বাল্যবিয়ের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ায় তারা খুশিতে কেঁদে ফেলেছিল। তারা লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষিত হতে চায়।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, একই স্কুলের ওই শিক্ষার্থীদের বাড়ি চাঁচকৈড় মধ্যমপাড়া এলাকায়। তারা হলো ওই এলাকার শামীমের মেয়ে ষষ্ট শ্রেণির ছাত্রী শাহানুর (১৩), মো. রঞ্জুর মেয়ে সপ্তম শ্রেণির রহিমা (১৩) ও কালামের মেয়ে কামরুন্নাহার (১৪)।

অভাবক্লিষ্ট দিনমজুর বাবা-মা তাদের বিয়ে দেওয়ার জন্য দিনক্ষণ ঠিক করেন। বাল্যবিয়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য একত্রিত হয় তিন বান্ধবী। মঙ্গলবার সকালে গোপনে ইউএনওকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানায় তারা। ইউএনও তমাল হোসেন তাৎক্ষণিক তাদের বাড়িতে গিয়ে বাবা মার কাছ থেকে বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা নেন।

ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, নিজের বাল্যবিয়ে নিজেরাই বন্ধ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই তিন ছাত্রীকে সাহসিকতার পুরস্কার সরূপ সনদ ও মুক্তিযুদ্ধের বই উপহার দেওয়া হবে।

অপরদিকে একইদিনে দুপুরের দিকে উপজেলার মকিমপুর প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সালমাকেও বাল্যবিয়ের কবল থেকে রক্ষা করার খবর নিশ্চিত করেছেন ইউএনও মো. তমাল হোসেন।