‘তাজমহলকেও শিগগির মন্দিরে রূপান্তর করা হবে’

অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি নিয়ে শনিবার রায় দিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি শর্তসাপেক্ষে দেওয়া হোক হিন্দুদের। মুসলিমদের মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প জমি দেওয়া হোক। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছেন,৩-৪ মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে তৈরি করতে হবে ট্রাস্ট। সেই ট্রাস্ট ওই জমিতে মন্দির নির্মাণের জন্য রূপরেখা তৈরি করবে। আর অযোধ্যাতেই মসজিদের জন্য মুসলিম সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ডকে দেওয়া হবে ৫ একর বিকল্প জমি।

তবে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিয়ে ভারত জুড়ে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মধ্যে স্বস্তির পাশাপাশি রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দেশের সরকার প্রধান থেকে আমজনতা সবার বক্তব্য উঠে এসেছে ভারতসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।

বাবরি মসজিদ নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই দেশটিতে এবার একটি পুরোনো খবর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর সেটি হলো আগ্রার বিখ্যাত তাজমহল। খবরটি গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের হলেও আবার খবরটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

পুরোনো এই খবরটি নতুন করে অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাঁদের মনে প্রশ্ন, বিজেপি সরকার কি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্য শ্বেত পাথরের এই স্থাপনাটিকে ধংস করতে চাইছে?

২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, তৎকালীন দেশটির এক সাংসদ দাবি করেন, বাবরি মসজিদের মতো আগ্রায় নির্মিত তাজমহলও নাকি একটি মন্দিরের উপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আর খুব তাড়াতাড়ি এই বিখ্যাত তাজমহলকে ‘তাজ মন্দির’ বানানো হবে। তৎকালীন বিজেপি সাংসদ ভিনয় কাতিয়ার বলেছিলেন, ১৭ শতকে মুঘল সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় একটি মন্দিরের জমিতে তাজমহলটি নির্মাণ করেছেন। তাই তাজমহলটি খুব দ্রুত মন্দিরে রূপান্তর করা হবে।

ভিনয় বলেন, ‘এটি আমাদের মন্দির ছিল। তাজমহলটিকে খুব দ্রুত মন্দিরে রূপান্তরিত করা হবে।’