অধ্যক্ষকে পুকুরে নিক্ষেপ: ছাত্রলীগের আরও ৪ কর্মী গ্রেফতার

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে লাঞ্ছিত এবং পুকুরের পানিতে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের আরও চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর সিপাইপাড়ার বাহারাম বাদশার ছেলে মাহাবুব হোসেন (১৯), একই এলাকার সাহেদ আলীর ছেলে নাঈম ইসলাম (১৯), নূর হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন শিপন (২০) এবং শিরোইল কলোনি এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে নাইমুজ্জামান (১৯)। এরা সবাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো। জড়িত বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, মিডটার্মে ফেল এবং ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্মসম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে গত ২ নভেম্বর শনিবার সকালে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিনের কার্যালয়ে গিয়ে চাপ দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ওইদিন দুপুরে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার পর টেনেহিঁচড়ে ক্যাম্পাসের ভেতরের একটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়া হয়। এ নিয়ে রাতে মামলা করেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে আসামি করে ওই রাতে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলা করেন অধ্যক্ষ।