ইডেনে মারধরের সময় বিবস্ত্র করে ছবি তোলার অভিযোগ

ইডেন মহিলা কলেজের হলে ছাত্রলীগ নেত্রীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কলেজের এক কর্মীর হাত কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন।

এছাড়া আবাসিক হলের রুমে মেয়েদের শ্লীলতাহানির অভিযোগও উঠেছে। এমনকি বিবস্ত্র করে ছবি তোলে মারধরের অভিযোগ করেছেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা।

শনিবার (০৯ নভেম্বর) ভোরে ইডেনের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মাহবুবা নাসরিন রুপা শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ভুক্তভোগী ও আহত সাবিকুন্নাহার তামান্না কমিটির একজন সদস্য।

জানা গেছে, হলে বহিরাগতকে রাখা নিয়ে শনিবার ভোরে এ সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলে ২১৯ নং কক্ষে নাবিলা নামের একজন বহিরাগত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে হলে রাখতেন। সম্প্রতি রুপার প্রভাবে নাবিলা অন্যান্যদের সাথে বেয়াদবি করেছেন অনেক সিনিয়রদের সাথে। বহিরাগত হয়েও নাবিলার প্রভাব বিস্তার এবং বেপরোয়া কার্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ জানান অন্যান্য নেত্রীরা। শনিবার ভোর রাতে তাকে হলে রাখাকে কেন্দ্র করে হলে অন্য নেত্রীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুপা তার অনুসারীদের নিয়ে অন্য নেত্রীদের ওপর হামলা করেন। এসময় ছাত্রলীগ নেত্রী রুপা নিজ সংগঠনের কর্মী সাবিকুন্নাহার তামান্নার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। পরে আহত তামান্নাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেত্রী রুপা অনেক দিন থেকেই বহিরাগতদের উঠিয়ে সিট বাণিজ্য করে আসছেন। হল প্রশাসন তা জানলেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুপা বলেন, ‘২১৯ নম্বর রুমে নাবিলা নামে এক শিক্ষার্থী ছিলো। সে ডিগ্রিতে পড়ে। সে বহিরাগত না। তাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু করে কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুমানারা অনুর অনুসারীরা। ২১৯ নম্বর রুমে অনুর অনুসারীরা গিয়ে ওই রুমের মেয়েদের বিবস্ত্র ছবি তুলেছে। ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে মারধর করেছে। তারা আমার রুম ভাঙচুর করেছে। আমাকে হল থেকে বের করে দিয়েছে। আমি কাউকে মারিনি। কাউকে ছুরি দিয়ে আঘাত করিনি।’

ছাত্রলীগের কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আনজুমানারা অনু বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না, ঘটনার পরে আসছি। আমি কাউকে মারধর করিনি।’

এ বিষয়ে লালবাগ থানার ওসি একেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা শুনেছি হলে মেয়েদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’