পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ায় দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাইলেন যুবক!

অনেক  স্বপ্ন নিয়ে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন উমর রিয়াজ।এরপর একাধিকবার ফেল করে কোনোরকমে তৃতীয় শ্রেণীতে (থার্ড ক্লাস) পাস করেন তিনি। এতে ক্ষেপে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নামে দুই লাখ পাউন্ড (২ কোটি ১৮ লাখ টাকা প্রায়) ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছেন ৩৩ বছর বয়সী ওই ছাত্র।

তবে, স্থানীয় আদালত তার এ অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। যদিও এখনো হাল ছাড়েননি ওই যুবক। নিজের ‘অধিকার’ ফিরে পেতে প্রয়োজনে জাতিসংঘে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ইউরোপীয় দেশ ওয়েলসে এই ঘটনা ঘটেছে।

ব্র্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানায়, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ থেকে এসে ২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসে রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন রিয়াজ। কিন্তু, প্রথম বর্ষে পাস করতে না পারায় আবারও পরীক্ষা দিতে হয় তাকে। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষাও পিছিয়ে যায় তার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে।  এর ফলে, অনার্স ডিগ্রি পাওয়ার মতো প্রয়োজনীয় ক্রেডিট সংগ্রহে ব্যর্থ হন রিয়াজ। আবার পেরিয়ে যায় রেজিস্ট্রশনের সর্বোচ্চ সময়সীমাও। একারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নামে মামলা করেন তিনি। কিন্তু, তাতে কাজ হয়নি।

এতে আরও ক্ষেপেছেন উমর রিয়াজ। তিনি বলেন, আমি লড়াই চালিয়ে যাবো। দরকার হলে এটি জাতিসংঘে নিয়ে যাবো।

পাকিস্তানি এ যুবক বলেন, আমি পড়াশোনায় যথেষ্ট ভালো ছিলাম। বাড়িতে (পাকিস্তানে) ইংরেজি কোর্সেও পাস করেছি। আমার বাবা-মা পড়াশোনা জানেন না, তারা স্কুলেও যাননি। বাড়ির ছোট ছেলে আমি, একারণে পরিবার আমাকে উচ্চশিক্ষা নিতে পাঠিয়েছিল।

তিনি বলেন, সাধারণ একটা পাসে আমার কিছুই হবে না। আমি জৈব রসায়নে পিএইচডি করতে চাই। চূড়ান্ত বর্ষে আমি ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির আবেদন করছিলাম। ইতালি-জার্মানি থেকে আমার কাছে বেশ কয়েকটি ইমেইলও এসেছে। তারা আমার কাজে খুশি, কিন্তু আমার যথেষ্ট ক্রেডিট নেই। থাকলে অন্যদের মতো আমিও হয়তো ভালো কোথাও কাজ করতাম।

উমর রিয়াজের এ লড়াই কতটা সফল হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের দিক থেকে পরীক্ষার ফলাফলে কোনো সমস্যা নেই। ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসের এক মুখপাত্র বলেন, আমরা সব অভিযোগই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আমরা যথাযথ মান বজায় রাখতে সবসময় সচেষ্ট। আমাদের সব প্রক্রিয়াই সুষ্ঠু ও নিখুঁতভাবে করা হয়েছে।