চবির ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হয়নি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মানোন্নয়ন দেয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের একাংশের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি ‘ডি’ ইউনিটে। প্রকাশিত ফলাফলে বাদ দেয়া হয়েছে ২০১৮ সালে আবেদনের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও যারা মানোন্নয়ন দিয়ে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তাদের রেজাল্ট।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, উক্ত ইউনিটে পাশের হার ছিলো ৩৪ শতাংশ। এতে অংশগ্রহণ করেন ৪৪ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে প্রায় ৩ হাজার মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থী পাশ করেছেন। তবে বাদ পড়েছেন গতবছর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এবছর মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থীরা।

ফলাফল প্রকাশ এবং মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক।

চবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৮ সালে চবিতে আবেদনের যোগ্য হয়েও ২০১৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে চবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ফলাফলে ‘অ্যাবসেন্ট অর ক্যানসেল্ড’ দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে ডি ইউনিটের কো অর্ডিনেটর ও শিক্ষা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, ডি ইউনিটের অধীনে মানোন্নয়ন দেয়া প্রায় ৩ হাজার ভর্তি পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হলেও এদের মধ্যে যারা ২০১৮ সালে আবেদনের যোগ্য ছিল কিন্তু মানোন্নয়ন দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা দিয়েছে তাদের ফলাফল ভর্তি কমিটির নির্দেশনায় নীতিমালা অনুযায়ী বাদ দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ৩ নভেম্বর থেকে মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। সর্বশেষ ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন তারা। তাদের দাবি- অযোগ্য হলে তাদেরকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হলো কেন?

জানা যায়, চবির ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকায় বিষয়টি অস্পষ্টতা থেকে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, যারা ২০১৮ সালে অযোগ্য ছিলো তাদের মানোন্নয়ন দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকার বিষয়টি বলা হলেও, যারা যোগ্য ছিলো; কিন্তু মানোন্নয়ন দিয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

এর আগে গত ২৮ই অক্টোবর দুই শিফটে ‘ডি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ন্যাশনাল কারিকুলামের (ইংরেজী মাধ্যম) শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র ছাপানোর বিষয়ে ত্রুটির কারণে ফলাফল প্রকাশ স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। গত ৬ নভেম্বর ন্যাশনাল কারিকুলামের ২০৭ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পুন:পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৭ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪৪ হাজার ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছে ১৫ হাজার ২৫৫ জন। এছাড়া উক্ত ইউনিটে আবেদন করেন ৫২ হাজার ৯১৭জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ৮ হাজার ৪৯ জন শিক্ষার্থী।