ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর নাম দিয়েছে পাকিস্তান

প্রতীকি ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের নামটি দিয়েছে পাকিস্তান। ২০০৪ সাল থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উপকূলবর্তী দেশগুলোয় ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়। সে সময় আটটি দেশ মিলে ৬৪টি নাম প্রস্তাব করে। সেসব ঝড়ের নামের মধ্যে এখন বুলবুল ঝড়কে বাদ দিলে আর ৫টি নাম বাকি রয়েছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা আঞ্চলিক কমিটি একেকটি ঝড়ের নামকরণ করে। উদাহরণস্বরূপ ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এই সংস্থার আট দেশ।

দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ওমান, যাদের প্যানেলকে বলা হয় WMO/ESCAP।

একসময় ঝড়ের নাম হিসেবে নারীদের নামকে প্রাধান্য দেয়া হলেও পরবর্তীতে আবারও পুরুষের নাম সংযোজিত হতে থাকে। বর্তমানে বস্তু বা অন্য বিষয়ের নাম অবস্থাভেদে টেনে আনা হয়েছে। যেমন- সিডর, মেঘ, বায়ু, সাগর ইত্যাদি।

উত্তর ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সব ঝড়ের নামকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দেয়া নামগুলো হলো- অনিল, অগ্নি, নিশা, গিরি, হেলেন, চপলা, অক্ষি, ফণী। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল নিয়ে আলোচনা চলছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের খবরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১০ কিমি দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। অধিদফতর থেকে আরও জানানো হয়েছে, ৮ নভেম্বরের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৮০ মাইলে উঠবে, যা সর্বোচ্চ ৯০ মাইলেও পৌঁছাতে পারে।

সেদিনই ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে। এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে আগামী ১০ নভেম্বর।