ভূত আতঙ্কে নোবিপ্রবির বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা

প্রবাদে আছে, ‘যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে রাত হয়’। এর ব্যতিক্রম নোবিপ্রবিতে যেখানে ভূতের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয়।  ভূত নিয়ে রীতিমতো সরগরম নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বঙ্গমাতা হল। 

এরকমই ভূত আতঙ্কে সদ্য চালুকৃত নোবিপ্রবির বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। কিছুদিন আগে এ হলের ক্যান্টিন বয় বাপ্পি ও বাবুর্চি রিপন হল ছেড়ে চলে যান।

জানা যায়, ভূত আতঙ্কই ছিল তাদের যাওয়ার মূল কারণ। যাওয়ার আগে ক্যান্টিন বয় বাপ্পি হলে ভূত আছে বলে সবাইকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে হল ছাড়েন ক্যান্টিন বয় বাপ্পি ও বাবুর্চি রিপন।

শিক্ষার্থীদের ভূত আতঙ্কের খবর জানতে পেরে বঙ্গমাতা হল প্রভোস্ট মো শাহীন কাদির ভূঁইয়া গত ৫ নভেম্বর হলে হুজুর ডেকে মিলাদ ও দোয়ার ব্যবস্থা করেন। হলের সকল শিক্ষার্থীই যখন বিষয়টি জেনে যায়, তখন সবার উপর আতঙ্ক আরো চওড়া হয়ে উঠে।

বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বঙ্গমাতা হলের আবাসিক ছাত্রী প্রমি রহমান বলেন, ‘হলে ভূত আছে এমন গুঞ্জন ভাসছে বেশ কিছু দিন ধরে। কিন্তু সবাই তেমন আতঙ্কগ্রস্ত ছিল না। হলে হুজুর এনে দোয়া ও মিলাদ করার পর সকলেই বিষয়টি জানে। এরপর থেকে আতঙ্ক আমাদের আরো বেশি গ্রাস করে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট মো. শাহীন কাদির ভূঁইয়া বলেন, ‘কারো রুমের সামনে অন্য রুমের ছাত্রী হাঁটলেও তারা অন্য কিছু হাঁটে বলে মনে করে। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের এমন আতঙ্কের কথা জানতে পেরে আমরা হলে হুজুর ডেকে মিলাদ ও দোয়ার ব্যবস্থা করি।’