অডিও ফাঁসের ঘটনায় সহকারী ছাত্র উপদেষ্টাকে অব্যাহতি

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষকের সাথে ওই বিভাগের এক ছাত্রীর কথোকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে উক্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো.রোকনুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী প্রক্টর ড. মো. আবু সাইদ, ছাত্র নেতা রেজোয়ান রনি সহ আমরা মেয়েটির সাথে কথা বলেছি। এ সময় মেয়ের ভাই তাসিন ও তার বন্ধু আজমী সেখানে উপস্থিত ছিলো।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করে এবং এটিকে স্বাভাবিক কথোপকথন বলে জানায়। কথোকথনে কোন ধরণের অপ্রীতিকর কথা হয়নি বলেও সে আমাদের নিশ্চিত করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মৌখিক কিংবা লিখিত কোন অভিযোগ করেনি।

এসব বিষয়ে মেয়েটির সাথে যোগাযোগের জন্য তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তার ভাই তাসিনের সাথে কথা বললেও সে কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।

অডিও রেকর্ডের সাথে জড়িত ওই ছাত্রীর ডিপার্টমেন্টাল বন্ধু আকাশ, তন্ময়, মিরাজ, আভা ও বড় ভাই আসিফ, রেজোয়ানের সাথে কথা বললে তাঁরা জানায়, স্যারের সাথে কথা হলেও সেখানে অপ্রীতিকর কোন কথা ছিলো না। এছাড়া বিষয়টি প্রায় ৪-৫ মাসেই আগেই সমাধান হয়েছে। আবার এ বিষয়টি নিয়ে একটি পক্ষ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দ্যেশে অপপ্রচার চালিয়ে আমাদের ডিপার্টমেন্টের মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হকের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কিছুটা জেনেছি তবে এখনো কোন পক্ষ থেকে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাইনি। অডিও রেকর্ডের সাথে জড়িত ওই শিক্ষক ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করলে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়। পরে প্রশাসনের সিন্ধান্তে অনুযায়ী তাঁকে উক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব বিষয়ে সব সময় জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল আছে। এ বিষয়ে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না । তবে লক্ষ্য রাখতে হবে কেউ যেন এর সুযোগ নিয়ে অপরাজনীতি করতে না পারে।