কুবির বাসে স্থানীয়দের হামলা, শিক্ষার্থীসহ আহত ৩

সিএনজি চালকের সাথে হেল্পারের কথা কাকাটাকাটির জের ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বাসে হামলা করেছে স্থানীয়রা। আজ বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে শহরগামী নীল বাস চাঙ্গিনী উত্তর মোড়ে পৌছালে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ও বাসের হেল্পার আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সিএনজি চালক বাবুলকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসটি কোটবাড়ির চাঙ্গিনী মোড়ে গেলে উল্টোদিক থেকে আসা একটি সিএনজি রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। এসময় বাসের হেল্পার এবং শিক্ষার্থীরা দ্রুত জায়গা দিতে বললে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় ব্যাবসায়ী এরশাদ মিয়াসহ পাঁচ থেকে সাতজন স্থানীয় ব্যাবসায়ী এবং সিএনজি চালক বাবুল শিক্ষার্থীদের মারধর করে। এসময় ইংরেজী ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদ নহীম , ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তুষার ও বাসের হেল্পার আহত হন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে পৌনে দশটা থেকে প্রায় ১২টা পর্যন্ত কোটবাড়ি-কুমিল্লা সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।শিক্ষার্থীরা দোষীদের বিচারের দাবিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন। পরে সিএনজি চালককে আটক করা হলে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

আইন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের স্থানীয় এলাকাবাসী মারধর করে। শিক্ষকরা বাসে বসে তা দেখেছেন। শিক্ষকদের বলার পরও তারা বাস থেকে নামেননি।’

এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ মহসিন বলেন, ‘আমরা সিএনজি চালককে আটক করেছি। আগামী ১০ তারিখের মধ্যে সব হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মাদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। এ অনুযায়ী মামলা করা হবে।’