কৃষিতে সমন্বিত ভর্তি: সকল আবেদনকারীর পরীক্ষার সুযোগের দাবি

কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী সকল শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ, অনির্বাচিতদের ভর্তি ফরমের মূল্য ফেরতসহ তিন দফা দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধন করেছে বামপন্থী সংগঠনগুলো।

সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার যোগ্যতা জিপিএ ৭.০০ থাকলেও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য সর্বনিম্ন জিপিএ ৯.১৫ করা হয়েছে। এতে প্রাথমিক বাছাইয়ে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী বাদ পড়ে গেছে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেখানে এর চেয়ে কম জিপিএ দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া যেত এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না।

ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের জন্য ফরমের মূল্য ১০০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে কিন্তু অনির্বাচিতদের সেই টাকা ফেরত দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। অনির্বাচিত সকল শিক্ষার্থীর নিকট হতে ১০০০ টাকা ফরমের মূল্য আদায়ের সিদ্ধান্ত অমানবিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, প্রতি বছর শিক্ষার্থী বৃদ্ধির সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর ১২২টি আসন কমানো হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে আসন সংখ্যা পুনর্বহাল বা বৃদ্ধি করার আবেদন জানাচ্ছি। পাশাপাশি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দাবি করছি।

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী মাকসুদুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি হয়েছিলাম। জিপিএ কম থাকা সত্ত্বেও এ বছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু প্রাথমিক বাছাইয়ে এ স্বপ্ন ধ্বংস হয়ে গেল। এতে অন্যান্য কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা থাকলেও সমন্বিত হওয়ায় এবার সেটিও সম্ভব হচ্ছে না। যদি এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয় তবে আমি মনে করি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ মার্কসবাদী) বাকৃবি শাখার সভাপতি গৌতম কর, সহ সভাপতি ইব্রাহীম খলিল ও সাধারণ সম্পাদক প্রেমানন্দ দাস, ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদের সভাপতি ধ্রুবজ্যোতি সিংহ ও সাধারণ সম্পাদক অনন্য ঈদ-এ-আমিনসহ সংগঠন দুটির অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।