কুরিয়ারে ঘুষের টাকা, ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর গ্রেপ্তার

দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুপুরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ঘুষের কোটি কোটি টাকা লেনদেন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের রহস্য উদ্‌ঘাটনে আজ রোববার সকাল থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বিরুদ্ধে কুরিয়ার সার্ভিসে মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনের তথ্যের সত্যতা পায় সংস্থাটি। এরই ধারাবাহিকতায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১–এ একটি মামলা দায়ের করার পরপরই দুদক কার্যালয় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, কারা সদর দপ্তরে ডিআইজি পদে থাকায় বজলুর রশীদ সারাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চাঁদার নামে নির্ধারিত রেটে ঘুষ নিয়ে থাকেন। এই টাকা যেত কুমিল্লার তৌহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি তা পাঠাতেন বজলুর রশীদের স্ত্রী রেবার কাছে। তাদের যোগাযোগ হতো ভুয়া ঠিকানায় নেয়া রেবার মোবাইল ফোনে। কুমিল্লা থেকে তৌহিদ হোসেন মিঠুর পাঠানো টাকা এসএ পরিবহনের কাকরাইলের প্রধান অফিস থেকে শুধু মোবাইলে মালিকানা নিশ্চিত করে তুলে নেয়া হয়।

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে একটি জাতীয় দৈনিক তার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বজলুর রশীদ বলেছিলেন, ‘আমি দুটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেছি। যারা এই দুই দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারাই এই নিউজ করিয়েছে। সবকিছু বানোয়াট।’