প্রাথমিক উপবৃত্তি প্রকল্প

শিওর ক্যাশের সম্মানীতে সচিবদের ইউরোপ সফর

রূপালি ব্যাংকের শিউর ক্যাশের মাধ্যমে দেয়া হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি। এই প্রকল্পের থেকে প্রাপ্ত সম্মানী ভাতা ও প্রকল্পের অধীনে ইউরোপ সফরে গেছেন ১২ জন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উচ্চপদের কর্মকর্তা। এর মধ্যে তিনজন রূপালি ব্যাংকের কর্মকর্তাও রয়েছেন।

ইউরোপের তিনটি দেশ নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনে ঘুরে এসেছেন তারা। সফরে থাকা কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এফ এম মঞ্জুর কাদের, উপবৃত্তি প্রকল্পের পরিচালক ইউসুফ আলী।

প্রাথমিক উপবৃত্তির টাকা তিন বছর ধরে রূপালী ব্যাংকের শিওর ক্যাশের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। রূপালি ব্যাংকের সঙ্গে করা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চুক্তিতে ‘ডেটা আপলোড ও ম্যানেজমেন্ট’- এর নামে প্রণোদনা হিসেবে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা রাখা হয়। ‘শিওর ক্যাশ সম্মানী বাবদ’ প্রকল্পের কর্মকর্তা ছাড়াও মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সম্মানীসহ দেয়া হয় অনেক সুযোগ সুবিধা। তার পরেও দেখা যায় অনিয়ম। এ অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের মাধ্যমে উঠে এসেছে বড় ধরনের অনিয়মমূলক কাজকর্ম ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপবৃত্তি প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা বলেন, মূলত সেবা মাসুল বাড়িয়ে কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর, ডেটা আপলোড ও ম্যানেজমেন্ট নামে সম্মানী নেওয়া ও প্রশিক্ষণের টাকা যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সেবা মাসূল বাড়িয়ে সেই টাকায় বিদেশ সফর করার অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রকল্প পরিচালক ইউসুফ আলী।

এদিকে শিওর ক্যাশের টাকা নিয়ে এমন বিতর্কের মধ্যেই আগামী মাসে ১০ জন করে দুটি দলের অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সাবেক তত্ত্বধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজুদ্দিন খান বলেন, এখন যে যেভাবে পারছে সেভাবেই সুযোগ সুবিধা ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। এটা খুবই লজ্জাজনক। এসব অনিয়ম দ্রুত বন্ধ করতে হবে ।