পাঁচ মিনিটে তিন খুন

ভারতের জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের কিনারা হলো এক সপ্তাহ পর। সপরিবারে শিক্ষক হত্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মূল অভিযুক্তকে। আটক উৎপল বেহরা পেশায় রাজমিস্ত্রি। সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে আর্থিক লেনদেন। এছাড়া হত্যাকারীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিল নিহত বন্ধুপ্রকাশ। গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের পর থেকে আটক উৎপলকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এর পর প্রশ্নের মুখে ভেঙে পড়েন উৎপল। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তিনজনকে হত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

পুলিশ বলছে, বন্ধুপ্রকাশের ফোনে শেষ কলটি ছিল উৎপলের। এছাড়া আরো কিছু তদন্তের ভিত্তিতে উৎপলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুপুর ১২টা ৬ মিনিট থেকে ১২টা ১১মিনিটের মধ্যে তিনজনকে হত্যা করেন উৎপল। প্রথমে গিয়ে আঘাত করেন নিহত শিক্ষককে, পরে তার স্ত্রী ও ছেলেকে হত্যা করেছেন বলে জেরায় জানিয়েছেন উৎপল।

পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপল মুর্শিদাবাদে কাজ করতেন। নবমীর দিন সাগরদিঘিতে বোনের বাড়ি আসেন। এর পর সেখান থেকে অস্ত্র কেনেন। এর পর ওই শিক্ষককে ফোন করে বিমার রসিদ চান। দু'জনের মধ্যে কথা কাটিকাটি হয়। নিহত শিক্ষক তাকে গালিগালাজও করেন। এর থেকে তার ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

দশমীর দিন দুপুর ১২টা নাগাদ শিক্ষকের বাড়ি আসেন উৎপল। শিক্ষক দরজা খুলে দেন। এর পর আক্রমণ করেন শিক্ষককে, তার পর তার স্ত্রী বিউটি ও ছেলে অর্ঘকে একে একে খুন করেন অভিযুক্ত। ১২টা ০৬ মিনিট থেকে ১২টা ১১ মিনিটের মধ্যে তিনজনকে খুন করেন অভিযুক্ত। এর পর অস্ত্র রেখে পালিয়ে যান উৎপল। হত্যা শেষে পোশাক বদল করে নেন। রক্তমাখা বিমার নথিতে আততায়ীর হদিশ পায় পুলিশ।