বুয়েটে শিক্ষক রাজনীতিও নিষিদ্ধ

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষক রাজনীতিও নিষিদ্ধ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুয়ায়ী বুয়েটে শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় বুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হয়ে এই ঘোষণা দেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।

একইসঙ্গে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর কোনো সংগঠনভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিয়ে ক্ষমতা দেখালে শৃঙ্খলা পরিষদের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় এই ঘোষণা আসে। অনুষ্ঠানের শুরুতে আবরারের রুহের মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষার্থীদের (১৫ তম, ১৬ তম, ১৭ তম ও ১৮ তম ব্যাচ) উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বুয়েট শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষুদ বুয়েট শিক্ষক সমিতি।বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতির এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার বুয়েট ক্যাম্পাসে আবরার হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. একেএম মাসুদ।

তিনি আন্দোলনকারীদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। শিক্ষার্থীদের রাজনীতিও শিগগিরই নিষিদ্ধ করা হবে। শিক্ষক সমিতির এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলেও জানান তিনি।

গত বুধবার বিকালে গণভবনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ এবং ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে বলেন, ছাত্ররাই সব আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় থাকে। আমিও ছাত্ররাজনীতি করেই এখানে এসেছি। এখন একটা ঘটনা ঘটেছে বলেই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে কেন? তবে বুয়েট চাইলে সেখানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে। আমরা এতে হস্তক্ষেপ করব না।

এরপরই শুক্রবার বুয়েট প্রশাসন তাদের ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে ছাত্ররাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করল।