১০ দফা নিয়ে বুয়েট অডিটোরিয়ামে আলোচনা শুরু (ভিডিও)

বুয়েট শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় বুয়েট কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে উপস্থিত হন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। অডিটোরিয়ামে শিক্ষার্থী  ও সংবাদকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন। আলোচনার শুরুতে আবরারের রুহের মাগফিরাত কামনায় ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

আবরারের খুনীদের ফাঁসিসহ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি নিয়ে শুধু বুয়েটের বর্তমান শিক্ষার্থীদের (১৫ তম, ১৬ তম, ১৭ তম ও ১৮ তম ব্যাচ) সঙ্গে আলোচনায় বসেন উপাচার্য। এর আগে গণমাধ্যমের সামন আলোচনা করতে রাজি না হলেও অনেক আলোচনা ও আন্দোলনের পর গণমাধ্যমের সামনে আলোচনা করতে রাজি হয়েছেন উপাচার্য। তবে আলোচনা সভা সরাসরি সম্প্রচার না করার শর্ত জুড়ে দিয়েছেন উপাচার্য।

১. খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

২. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের শনাক্ত করে সবার ছাত্রত্ব আজীবন বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

৩. মামলা চলাকালে সকল খরচ এবং আবরারের পরিবারের সকল ক্ষতিপূরণ বুয়েট প্রশাসনকে বহন করতে হবে।

৪. দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অধীনে স্বল্পতম সময়ে নিষ্পত্তি করতে হবে।

৫. অবিলম্বে চার্জশিটের কপিসহ অফিসিয়াল নোটিশ দিতে হবে।

৬. ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।

৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেন ৩০ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি, তা তাকে সশরীরে ক্যাম্পাসে এসে আজ বিকেল ৫ টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে ডিএসডব্লিউ স্যার কেন ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করেছেন, এ বিষয়ে তাঁকে আজ বিকেল ৫ টার মধ্যে সবার সামনে জবাবদিহি করতে হবে।

৮. আবাসিক হলগুলোতে র‍্যাগের নামে ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর সকল প্রকার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বন্ধে প্রশাসনকে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে আহসানউল্লাহ হল এবং সোহরাওয়ার্দী হলের পূর্বের ঘটনাগুলোতে জড়িত সকলের ছাত্রত্ব বাতিল ১১ অক্টোবর,২০১৯ তারিখ বিকেল ৫ টার মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে।

৯. পূর্বে ঘটা এধরনের ঘটনা প্রকাশ ও পরবর্তীতে ঘটা যেকোনো ঘটনা প্রকাশের জন্য একটা কমন প্লাটফর্ম বা সাইট থাকতে হবে এবং নিয়মিত প্রকাশিত ঘটনা রিভিউ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

১০. রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে আবাসিক হল থেকে ছাত্র উৎখাতের ব্যাপারে অজ্ঞ থাকা এবং ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হওয়ায় শেরে বাংলা হলের প্রভোস্টকে ১১ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখ বিকেল ৫ টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।

প্রসঙ্গত, আবরার হত্যার দ্বিতীয় দিন গত ৮ অক্টোবর উপাচার্য তার কার্যালয়ে এসে ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে একটি গোপন বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই চলে যেতে চাইলে তাকে কয়েক ঘন্টা তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। তবে মাঝে একবার বেরিয়ে এসেও শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ না করায় এবং শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে না পারায় পুনরায় তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল শিক্ষার্থীরা।