শিক্ষককে হুমকি দেয়ায় ছাত্রলীগ নেতার দণ্ড

স্কুল শিক্ষককে গালিগালাজ ও হুমকি দেয়ায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রোম্মান হোসেন (২৫) কে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহীর অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমানের আদালতের বিচারক জাকিউল ইসলাম এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। পরে পুলিশ তাকে জয়পুরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করে। দণ্ডপ্রাপ্ত রোম্মান উপজেলার ভিকনী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

ভ্রাম্যমান আদালত ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভিকনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালিন সময়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রোম্মান হোসেন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা খানমকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়। এ সময় প্রধান শিক্ষক মাসুদা খানম ঘটনাটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।

পরে তিনি পুলিশ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। এরপর রোম্মানকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে রোম্মানকে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অপরাধে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ভিকনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাসুদা খানম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রোম্মান দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের ভেতরে এসে আমাকে এবং আমার অন্য শিক্ষকদের হুমকি ধুমকি দিতো। এমনকি সে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করত। আজ সে সকালে বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে সরকারি কাজে বাধা দেয়, পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটায় এবং আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বিভিন্ন হুমকি দেয়। তখন আমি ঘটনাটি আমার উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিদ্যালয়ে আসেন এবং রোম্মানকে আটক করে নিয়ে যান।

আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাকিউল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ নেতা রোম্মান দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অশ্লিলভাষায় গালিগালাজ, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটানো ও সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়ার পর বিদ্যালয়ে যাই এবং তাকে আটক করে নিয়ে আসি। এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এতে করে কোন নেতা বা ব্যক্তি শিক্ষকদের সাথে এই রকম কাজ করতে সাহস যেন না পায়।