পরিবার চাইলে ফাহাদ হত্যা মামলার আইনজীবী হব: সুমন (ভিডিও)

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় তার পরিবার চাইলে আইনজীবী হিসেবে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) তিনি এ ঘোষণা দেন।

সুপ্রিম কোর্টের এ আইনজীবী বলেন, মামলায় তার পরিবার যদি আমার কাছে আসেন আমি সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। এ মামলায় আমি বাদী হওয়ার সুযোগ নেই। আমি আইনজীবী হিসেবে দাঁড়ানোর জন্য যদি কোনোভাবে ওনারা আমাকে চান আমি অবশ্যই থাকবো।

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়া লাগবে। তাতে ছাত্রদের যে আশা, দ্রুত আসাসিমেদর ফাঁসি হওয়া, এতে আমার মনে হয় ছাত্ররা অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিচার দেখে যেতে পারবেন।

এদিকে এ মামলায় দু’দিনে ১৬ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ১৩ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হওয়া বাকি তিনজনকে (ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং ফাহাদের রুমমেট মিজান ও তোহা) এখনও আদালতে হাজির করা হয়নি।

বাকিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুহতামিম ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিওন, গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না, মুনতাসির আল জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, মুজাহিদুর রহমান ও মেহেদী হাসান রবিন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও একই ব্যাচের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র মো. আকাশ হোসেন (২১)।

প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।