আবরার হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে জাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং দেশ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিলের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও  সমাবেশ করেছে ছাত্রদল। বুধবার ৯ অক্টোবর সকাল দশটায় বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে অমর একুশে চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা বলেন,"আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, সেই সাথে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অবিলম্বে দেশের স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।"

এসময় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে বর্জনের আহবান জানিয়ে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত ব‌লেন," ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার বিকালে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাহাদ। এটা শুধু আবরারের মনের কথা নয়, এটা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের কথা। দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো চুক্তি স্বাধীন দেশের কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ মেনে নিতে পারে না। শুধুমাত্র স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় দেশের হয়ে কথা বলার অপরাধে ছাত্রলীগ একজন নিরাপরাধ মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করল। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। তারা  অন্য দেশের তাঁবেদারিতে ব্যস্ত।

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি নবীনূর রহমান নবীন, সহ সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব, সহ সভাপতি মিজানুর রহমান রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, সালাম বরকত হ‌লের যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী, হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, শহীদ রফিক জব্বার হলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মার্জুক, শহীদ রফিক জব্বার হলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল ইসলাম রোমান, শেখ মু‌জিবুর রহমান হ‌লের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন হাবিব হিরণ, শেখ মুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, শেখ মুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসরাফিল চৌধুরী সোহেল, আল বেরুনী হলের যুগ্ম আহ্বায়ক জরজিস মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ছাত্রনেতা ইকবাল হোসাইন, ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম সাইফ, ছাত্রনেতা মেহেদী হাসান, ছাত্রনেতা আমজাদ হাবিব প্রমুখ।

এদিকে, কর্মসূচি শেষের দিকে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের এক নেতা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ব্যানার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে ঐ ছাত্রলীগ নেতা। পরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, এক এগারোর পর থেকেই শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করতে পারছেন না।