আবরার হত্যা: বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বুয়েটে ঢাবি শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হয়। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী হয়ে অপরাজেয় বাংলা, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ দিয়ে ঘুরে ভিসি চত্বর হয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসের দিকে যায়।

তবে বুয়েটে প্রবেশের ক্যাম্পাস থেকে কিছু শিক্ষার্থী তাদেরকে মিছিল নিয়ে না যেতে অনুরোধ করেন। তা উপেক্ষা করেই বুয়েট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ নিয়ে যান ঢাবি শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশও মিছিলে বাধা দেয়।

পরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে যেতে চাইলে সেখানে পুলিশ ফের বাধা দেয়। এসময় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেনসহ আরো শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এসময় তারা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হলে হলে সন্ত্রাস রুখে দাড়াও ছাত্র সমাজ’, ‘দিয়েছি রক্ত, আরো দেবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘শিক্ষা, ছাত্রলীগ, একসাথে চলে না’, ‘সন্ত্রাসীদের কালো হাত, ছাত্রলীগের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

রোববার রাত তিনটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয়তলা থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। নিহত আবরার ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

জানা যায়, রবিবার রাত আটটার দিকে একদল ছাত্র আবরারকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাত দুইটার দিকে শেরে বাংলা হলের প্রথমতলা ও দ্বিতীয়তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদের মরদেহ দেখতে পায় অন্য শিক্ষার্থীরা। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থীদের ধারণা ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।