গাভী নয়, ভিসি বৃত্তান্ত ও একজন স্যার ফিলিপ হার্টগ

এক.
উপাচার্যদের নিয়ে বাংলা সাহিত্যে দু’টি বহুল আলোচিত উপন্যাস রয়েছে। এর একটি লিখেছেন আহমদ ছফা, অন্যটি মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ছফার ‘গাভী বিত্তান্ত’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল মান্নানকে নিয়ে যিনি ১৯৮৬ থেকে ৯০ পর্যন্ত সামরিক শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ক্ষমতার কাছে নতজানু আর মেরুদণ্ডহীন একজন ভিসি যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কদর্য নোংরা শিক্ষক রাজনীতি, দলাদলি আর লেজুড়ভিত্তির চর্চা করেন— এমন প্রেক্ষাপটেই লেখা এ উপন্যাস।

আর মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ‘মহব্বত আলীর একদিন’ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত-সমালোচিত উপাচার্য মোসলেহউদ্দিনকে নিয়ে। প্রায় একই অভিযোগ পার্থক্য সামরিক আর গণতান্ত্রিক শাসনামল। ভিসি মোসলেহউদ্দীন ছাত্র আন্দোলনের মুখে রাতের আঁধারে পুলিশি প্রহরায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছিলেন। সম্প্রতি, গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনও নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার বিপরীতে নির্লজ্জ স্বজনপ্রীতি, ভয়াবহ দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। একজন শিক্ষার্থী প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী? এই প্রশ্নকে অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়ে সেই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন ভিসি। অভিযোগ আছে কথায় কথায় তিনি শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করতেন। আন্দোলন চলাকালে বশেমুরবিপ্রবির ভিসি শিক্ষার্থীকে বলেছিলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী তোর আব্বার কাছে শুনিস? গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনদিন?” ভাবা যায় কতোটা সুশিক্ষা ও রুচিহীন হলে প্রতিষ্ঠানের একজন সর্বোচ্চ অভিভাবক এমন অসংবেদনশীল মন্তব্য করতে পারেন।

‘মহব্বত আলীর একদিন’ উপন্যাসের বর্ণনায় দেখতে পাই, “ভোর রাতে মহব্বত আলীর ঘুম ভেঙে গেল। তিনি ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে গিয়ে তার মুখটা ধুতে লাগলেন। তার মনে হলো খ্যাপা ধরনের একটা মেয়ের থুতু তার মুখে লেগে আছে। তিনি যতই সেটা ধুয়ার চেষ্টা করছেন কিছুতেই পরিষ্কার করতে পারছেন না। কিছুতেই না।”

বশেমুরপ্রবির অগণন অপকর্মের হোতা উপাচার্য নাসির উদ্দীনের পুলিশি পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ ও পদত্যাগের ঘটনা উপাচার্যকীর্তি মনে করিয়ে দেয়। তিনিও হঠাৎ ঘুমভাঙা এক ভোরে তার ফেলে আসা ক্যাম্পাসের প্রতিবাদী একটি মেয়ের এক দলা থুতু তার মুখে আবিষ্কার করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

আলমগীর শাহরিয়ার

 

জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে। কিন্তু এগুলোর মান নিয়ে কারও কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “বেঙ্গলের সবচাইতে মিসফরচুন ব্যাপার অইল, এইখানে সাপোর্টিং কলেজ অওনের আগে য়্যুনিভার্সিটি তৈয়ার অইছে। আর মিডল স্কুল তৈয়ার না কর্যা কলেজ বানাইছে।... গ্রামে গঞ্জে যেখানেই যাইবেন দেখবেন কলেজ জন্মাইতাছে। অখন আমাগো দরকার শক্তিশালী মিডল স্কুল। হেইদিকে কারও নজর নাই।” (আহমদ ছফা, যদ্যপি আমার গুরু) ।
প্রফেসর আবদুর রাজ্জাকের এই কথা এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। জেলায় জেলায়, শহরের পাড়ায় পাড়ায় ব্যাঙের ছাতার মতো বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠছে কিন্তু মানসম্পন্ন কলেজ, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল নাই। কারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, পড়াচ্ছে, সততা, নৈতিকতা, প্রশাসনিক জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা কতটুকু নিশ্চিত হচ্ছে— এসব প্রশ্ন তোলা অপ্রাসঙ্গিক নয়। এ মুহুর্তে ইউজিসি দেশের প্রায় ১১ জন ভিসির গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের কালে শুধু রাজনীতিবিদ, অসৎ আমলা, ক্যাসিনো সম্রাটরা নয়, পাপাচারে নিমজ্জিত এই ভিসিরাও এ মুহুর্তে জাতির দর্পণ।

এদেশে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এখনও শতবর্ষ পেরোয় নি। মাত্র এক বছর পর শতবর্ষে পা রাখবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ জাতির আত্মার সঙ্গে তুলনা করা হয় যে প্রতিষ্ঠানটিকে সেটিও আজ অপরাজনীতি, অব্যবস্থাপনা, আন্ধারকালীন, সাত কলেজের শিক্ষা-নৈরাজ্য ও রঙ বেরঙের কোন্দলের করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত। দিন দিন শ্রীহীন হয়ে উঠছে তার সর্বাঙ্গ। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয় একদিন এই পশ্চাৎপদ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে গড়ে উঠেছিল। শতবর্ষের দোরগোড়ায় পৌঁছে ভাবতে অবাক লাগে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দায়িত্বে ছিলেন কমনওয়েলথ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে যোগ্য একজন শিক্ষাবিদ, শিক্ষা সংস্কারক ও প্রশাসক। যিনি তাঁর শ্রম, মেধা ও অতুলনীয় দক্ষতা দিয়ে পুরো এ অঞ্চলের মানুষের শুধু উচ্চশিক্ষা নয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জাগরণের ভিত রচনা করেছিলেন সদ্য প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে। বলা বাহুল্য, তিনি অথর্ব ও ব্যর্থ হলে মুখ থুবড়ে পড়ত শুধু প্রতিষ্ঠানটি না, এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘলালিত স্বপ্ন ও সংগ্রামের বিকাশমান বাতিঘরটি।

দুই.
স্যার ফিলিপ হার্টগকে নিয়ে লেখার আগে ছোট্ট অথচ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনার বর্ণনা দিই। হার্টগ পাঁচ বছরের চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন শেষে ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে লন্ডন ফিরবেন। বিদায় প্রস্তুতি নিয়ে চরম ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বাসভবনে হার্টগ স্টেটসম্যানসহ কয়েকটি ইংরেজি দৈনিক ও সাময়িকী রাখতেন। লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার পূর্বে অন্য সবার টাকা পয়সা পরিশোধ করে গেলেও স্টেটসম্যান পত্রিকার এজেন্টের কিছু টাকা ভুলে পাওনা থেকে যায়। ১৯২৫ সালের ১৮ মে থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত ২৪ দিনের ৫ টাকা ৪ আনা বকেয়া পড়ে। লন্ডনে ফিরে যাওয়ার পর মনে পড়লে তিনি তাঁর পরবর্তী উপাচার্য ল্যাংলির কাছে লন্ডন থেকে টাকাটা পাঠিয়ে দেন পত্রিকাটির স্থানীয় এজেন্টকে বুঝিয়ে দিতে। ছোট্ট একটি ঘটনা কিন্তু অসততার কালে সততার, পর্বতসম অন্যায় এবং কর্তব্যপরায়ণহীনতার কালে ন্যায় ও কর্তব্যপরায়ণতার নিদর্শন হিসেবে এই ঘটনাটির স্মৃতিচারণ তাৎপর্যপূর্ণ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ছিলেন স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগ। জাতিগত পরিচয়ে তিনি ছিলেন একজন ব্রিটিশ। ধর্ম বিশ্বাসে ছিলেন ইহুদি। ইহুদীদের অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনি ছিলেন রিফর্মড জুডিস্ট গোত্রের। যারা আঠারো শতকের এনলাইটেনমেন্ট দ্বারা প্রভাবিত। সংস্কারবাদী ও উদার ইহুদী সম্প্রদায় ব্যক্তিস্বাধীনতা, সমান নাগরিক অধিকার ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। বর্ণিল কর্মময় ৬০ বছরের জীবনের ৫ বছর তিনি কাটিয়েছিলেন ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার পূর্বে তিনি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ছিলেন ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি এক্সটেনশন স্কিমের সচিব। ব্রিটিশ রয়্যাল গভর্মেন্টের গঠিত বিখ্যাত আলফ্রেড মোজেলে কমিশনেরও সচিব ছিলেন। সে সময় হার্টগের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর একাডেমিক রেজিস্টারের দায়িত্ব পালন। দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেন। এছাড়াও, লন্ডনের বিশ্ববিখ্যাত The School of Oriental and African (SOAS) গড়ে তোলেন। ১৯১৭ সালে যে ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ গঠন হয় স্যার ফিলিপ হার্টগ একজন সক্রিয় ও প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করেন। উচ্চশিক্ষা কমিশনের ইতিহাসে মাইলফলকখ্যাত এ দলিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। জানা যায়, হার্টগ নিজে ছিলেন একজন খ্যাতিমান রসায়ন বিজ্ঞানী। ব্রিটেনের বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান ও নোবলজয়ী রসায়ন ও পদার্থ বিজ্ঞানী ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধু। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর্নেস্ট রাদারফোর্ড ১৯০৮ সালে রসায়নশাস্ত্রে নোবেল পান। তাঁরা এক সঙ্গে একই বিভাগে কাজ করতেন। ছিলেন ঘনিষ্ঠ সহকর্মী।

এছাড়াও, ১৯২২ সালে ‘atomic structure and quantum mechanics’ সংক্রান্ত মৌলিক গবেষণার জন্য ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিলস বোর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান। বন্ধু ও সহকর্মীর নোবেল প্রাপ্তিতে উচ্ছ্বসিত উপাচার্য তাঁর সভাপতিত্বে কার্জন হলে এক সেমিনার আয়োজন করেন। যেখানে খ্যাতিমান প্রফেসর ওয়াল্টার জেনকিনস, জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ, সত্যেন্দ্রনাথ বসু, সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তারা বোরের গবেষণা নিয়ে আলোচনা করেন। হার্টগ স্মৃতিচারণ করেন বন্ধু ও প্রিয় সহকর্মীর। এমন কীর্তিমান একজন শিক্ষা সংস্কারক, সংগঠক নিশ্চয়ই স্বপ্ন দেখতেন তাঁর নিজ হাতে গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও একদিন নোবেল পাবে। জ্ঞান গবেষণায় উৎকর্ষতার প্রমাণ রাখবে শুধু উপমহাদেশে নয় গোটা বিশ্বে। এজন্য ব্রিটিশ সরকার যখন এই শিক্ষা সংস্কারককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের সংবাদ পেয়েই ব্রিটিনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখেন এবং শিক্ষাবিদদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং তাদের পরামর্শ নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ একটি উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়াস নেন। চাইতেন কলকাতা, বোম্বে, ও মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে উন্নত ও অগ্রসর একটি প্রতিষ্ঠান হোক। তাঁর সে সক্ষমতাও ছিল।

ঢাকা শহরে তখন হিন্দু-মুসলমান প্রভাবশালী গোষ্ঠীর সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে তিনি সম্যক ধারণা রাখতেন। শিক্ষক নিয়োগে এই দুই ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী চাইতেন তাদের নিজ ধর্ম পরিচয়ের লোকজন নিয়োগ পাক যাতে করে তাদের নিজ নিজ আধিপত্য বাড়ে। কিন্তু তিনি তাঁর ‘দুর্ভেদ্য ব্যক্তিত্ব’ দিয়ে ঢাকার নবাববাড়ি ও হিন্দু নেতাদের প্রভাব উপেক্ষা করতেন। যারা সত্যিকার মেধাবী ও যোগ্য তাদের নিয়োগ দিতেন। কলকাতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিসে বসে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া তদারকি করতেন। লাহোর কলেজ, মাদ্রাজ কলেজ, প্রেসিডেন্সি কলেজ, ঢাকা কলেজ, জগন্নাথ কলেজসহ উপমহাদেশের সেরা সেরা কলেজ থেকে তিনি শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড থেকেও শিক্ষক এনেছেন। সন্ধ্যার পর বের হয়ে আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধার খোঁজ খবর নিতেন। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন শেষে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে গিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য শুধু একটি ডিগ্রি প্রদান নয়- উদারমনা, পরমতসহিষ্ণু, যোগ্য ও স্বাবলম্বী নাগরিক গড়ে তোলা ছিল তাঁর শিক্ষা-সিলেবাসের লক্ষ্য। জাতি হিসেবে আমরা অকৃতজ্ঞ। একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ ব্যতীত স্যার ফিলিপ হার্টগকেও কস্মিনকালেও স্মরণ করে না আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। যেন মহাকালে এক বিস্মৃত নাম। যেমন আমরা বিস্মৃত হতে চলেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য কী।(তথ্যসূত্রঃ সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখা ‘স্যার ফিলিপ হার্টগঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।’)

লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক।