নিঃশর্তভাবে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হলে আন্দোলন চলবে

শরিফুল ইসলাম
শরিফুল ইসলাম

জিনিয়া এইমাত্র জানালো, তাকে না জানিয়েই ‘জিনিয়ার পক্ষ হতে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে, তাই তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হলো’ (বিস্তারিত ছবিতে) এই মর্মে মিথ্যা ও বানোয়াট বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।

জিনিয়ার পক্ষে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, জিনিয়া ক্ষমা চায়নি, চাইবেও না। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি সাজানো নাটক।

গতকাল থেকেই জিনিয়াকে নানা মাধ্যমে বলা হচ্ছে, তুমি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাইলে প্রশাসন বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করবে। জিনিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘আমি কোন ভুল করিনি। তাই ক্ষমা চাওয়ার কিছু নাই।’ তাসত্ত্বেও নানাভাবে তাকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

গতকাল আইন বিভাগের শিক্ষকদের মাধ্যমে জিনিয়ার সাথে আপোষে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। তাকে বিভাগের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার লিখিত নোটিশও দেওয়া হয়। জিনিয়া তার বিভাগের শিক্ষকদের যথাবিহীত সম্মানপূর্বক জানিয়ে দেয়, বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

প্রশাসন যখন বুঝতে পারলো জিনিয়াকে ক্ষমা স্বীকারে বাধ্য করানো যাবেনা, তখন এই কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। প্রকৃত অর্থে চলমান আন্দোলনের চাপে ভীত হয়ে প্রশাসন নতি স্বীকার করেছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া মানে জিনিয়া দোষী এটা স্বীকার করে নেওয়া। তাই এই ‘অফিস আদেশ’ প্রত্যাখান করেছে জিনিয়া।

ক্ষমা চাওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না; নিঃশর্তভাবে বহিষ্কার প্রত্যাহার করতে হবে। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, সাংবাদিক সমিতি থেকে বহিষ্কার প্রত্যাহার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের নিশ্চয়তাসহ পাঁচদফা দাবি তুলে ধরা হবে। এসব শর্ত মেনে নিয়েই প্রশাসন তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহারে বাধ্য হবে। এটাই জিনিয়া ও আমাদের শেষ কথা।

(বি.দ্র. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে এমন বিজ্ঞপ্তি পেয়ে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট করছেন যে, এটা আমাদের বিজয়। আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে। আসলে তা নয়। প্রশাসনের ফাঁদে পা দিবেন না। এসব প্রশাসনের মনগড়া, খামখেয়ালি ও একচেটিয়া সিদ্ধান্ত )

লেখক: শিক্ষক খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়