অথচ সেই ভিসি ট্রাস্টের টাকায় পড়ালেখা করেছেন

খোন্দকার নাসির উদ্দিন ও বশেমুরবিপ্রবির লগো
খোন্দকার নাসির উদ্দিন

বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যান ট্রাস্ট থেকে প্রতি মাসে দেড়শো টাকার বৃত্তি পেতেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন। এই বৃত্তির টাকা দিয়ে তিনি ছাত্রজীবনের পড়াশুনা শেষ করেছেন।

খোন্দকার নাসির উদ্দিন গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার সাতাশিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ। আট ভাই-বোনের মধ্যে বেড়ে উঠা নাসিরউদ্দিনের। দরিদ্র পরিবারের এই সন্তান এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সবার জীবনে এমন কিছু সংগ্রাম মুখর গল্প থাকে। আপনারও ব্যতিক্রম হয়নি।

কিন্ত গরীবের ঘরে জন্ম নেয়া নাসির উদ্দিন তার অতীত ভুলে গিয়েছেন। তিনি শিকড়ের কথা ভুলে গিয়ে হয়ে উঠেছেন অসুর। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী তোর আব্বার কাছে শুনিস। গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোদিন?

আচ্ছা স্যার, আপনার গরীব পিতা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুয়ারে গিয়েছিল? ওই যে ট্রাস্টের বৃত্তি নিয়ে পড়েছিলেন, সেটা না পেলে আপনার শিক্ষা গ্রহণ কোথায় গিয়ে ঠেকতো?

বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজদের একটি বড় অংশ উঠে আসে আমাদের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। আমরা ক্ষমতা পেলে ভুলে যাই, আমাদের অতীতকে। অহংকারবোধে ঘিরে ফেলে মস্তিষ্ক। এমন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কী, তা আব্বার কাছ থেকে শোনার প্রয়োজন নেই, গাভী বিত্তান্ত যথেষ্ট । যেখানে বেয়াদপ উপাচার্য থাকবে, সেখানে বেয়াদপ তৈরি হবে এটাই স্বাভাবিক নয় কী?

নাদিম মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া।