হাবিপ্রবি’র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ১ম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ১ম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ এক আবেগ-ঘন পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ তম ব্যাচ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধিভুক্ত বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১ম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় ।

অনুষ্ঠানে বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন এর সভাপতিত্বে উপাচার্য প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের অনুপস্থিতে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দিনাজপুর পিডব্লিউডির এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু জাফর সিদ্দিক, বিন্যাস ঢাকার চীফ স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল হাসান ও স্টার্স কেমিক্যালের জিএম সৈয়দ আলী আব্দুল্লাহ জামী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. রোকনুজ্জামান, মো রাশেদুল হক, সুপারিন্টেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. চাঁদ আলী প্রমুখ ।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাজীব আহমেদ ও অনিকা তাবাসসুমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসেন বলেন, এ বিদায় মানে এই নয় যে, আমরা কাউকে আজীবনের জন্য বিদায় দিচ্ছি। বরং আজ থেকে তোমাদের জীবনের আর একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো। সামাজিক বা পেশাগত দায়বদ্ধতা থেকে তোমাদের প্রস্থান করা দরকার তাই করতে হচ্ছে। শিক্ষা জীবনের একটি অধ্যায় শেষ করে এখন তোমরা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ বা কর্মজীবনে ভালো ভালো জায়গায় যাও এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। আর যেখানেই থাকবে তোমরা অবশ্যই নিজের, পরিবারের সমাজের দায়িত্ববোধ থেকে ভালো কিছু করে তোমাদের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে তোমাদের বিদায়কালে এটিই আমার প্রত্যাশা।

সভাপতির বক্তব্যে মো. বেলাল হোসেন বলেন, অনেক পরিশ্রম আর কষ্ট করে তোমাদের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী নিতে হয়েছে। পর্যাপ্ত ল্যাব, শিক্ষক না থাকায় ১ম ব্যাচ হিসেবে তোমরা অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। তবুও আমরা আমাদের জায়গা থেকে সবসময় চেষ্টা করেছি তোমাদের ভালো করে শিখানোর জন্য। কখনো কোন কিছুর অভাব বুঝতে দেয়নি। বর্তমান উপাচার্য স্যারের সুবাদে বিভাগে শিক্ষক সংখ্যা বেড়েছে, ল্যাব সৃষ্টি হয়েছে এখন যারা আছে তাদের আর সেই কষ্ট করতে হচ্ছে না। কর্মজীবনে কখনোই তোমরা রুয়েট, কুয়েটের চেয়ে নিজেদের ছোট করে দেখবানা, সাহস নিয়ে এগিয়ে যাও ভালো কিছু পাবে।

অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রুপন, সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান আতিকসহ কয়েকজন বিদায়ী শিক্ষার্থী ও জুনিয়র বিভিন্ন ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।