বশেমুরপ্রবিতে সাংবাদিককে বহিষ্কার করায় কুবিসাসের প্রতিবাদ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরপ্রবি) দ্যা ডেইলি সান ও দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সুনির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে বহিষ্কারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি-কুবিসাস’। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সমিতির দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

সমিতির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর সাবিক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থী কিংবা সাংবাদিকের কথা বলার স্বাধীনতা রয়েছে। এখানে তারা ভিন্ন মত এবং পথের ভাষা প্রকাশ করবে এটাই স্বাভাবিক। সমালোচনা গ্রহণ করার মন-মানসিকতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের থাকতে হবে। স্বৈরাচারী উপায়ে কোন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হতে পারে না। সংবিধানে সকল নাগরিকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হলেও কেন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ধারাবাহিকভাবে বাক স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। সাংবাদিকদের কাজ জনগণের কাছে তথ্য সরবরাহ করা। কিন্তু গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা যাচ্ছে বশেমুরপ্রবি প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক নিপীড়ন করে আসছে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জিনিয়ার বাহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের পরিবেশ তৈরী করার আহ্বান জানাচ্ছি। সাথে সাথে ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।

জানা যায়, গত ২২ আগস্ট পেশাগত দায়িত্ব পালনের স্বার্থে সংবাদের বক্তব্য সংগ্রহ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক খোন্দকার নাসির উদ্দিনের কার্যালয়ে যান জিনিয়া। এ সময় গত ১০ আগস্ট উক্ত সাংবাদিকের ফেসবুকে শেয়ার করা ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ কি হওয়া উচিত?’ শিরোনামের স্ট্যাটাস দেয়ার কারণ জানতে চান উপাচার্য। জিনিয়া স্ট্যাটাস দেয়ার কারণ বললে উপাচার্য তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকেন। এসময় তিনি গালাগালি করতে থাকেন এবং শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেয়ার হুমকি দেন। তার প্রেক্ষিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক আদেশে জিনিয়াকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।