ছাত্রদলের কাউন্সিলে আদালতের স্থগিতাদেশ

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ছাত্রদলের কাউন্সিলে অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জজকোর্টের ৬ নম্বর আদালত। আজ বৃহস্পতিবার আদালত এই আদেশ দিয়েছেন। ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক আহসান উল্ল্যাহর আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে বিএনপিকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। ২৭ বছর পর ছাত্রদলের এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এছাড়া ছাত্রদলের কাউন্সিলে কেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে না তা জানতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১০ নেতাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রাত ৮টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আদেশের কপি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তা রেজাউল করিম এ আদেশের কপি গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

আদেশ

 

বৃহস্পতিবার বেলা এগারটায় ছাত্রদলের নির্বাচনের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক আমান উল্ল্যাহ। আবেদনের প্রেক্ষিতে একই দিনে আগামী শনিবার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের ওপর এ আদেশ দেয় ঢাকা জেলা জজ কোর্টের ৬ নম্বর আদালত। আদালতের স্থগিতাদেশে বিএনপিকে নির্বাচনের ব্যাপারে কারণ দর্শাতে বলা হয়।

বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান খায়রুল কবির খোকন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। এই রকম একটি তথ্য তিনি শুনেছেন বলে জানান। তিনি জানান, আদালতের স্থগিতাদেশ থাকলে কাউন্সিল স্থগিত হবে। আইনজীবিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের। শীর্ষ দুই পদে নেতা নির্বাচিত হবেন গণতান্ত্রিক পন্থায়। ইতিমধ্যে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ২৮ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে সভাপতি হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ১৯ জন।