ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করা যাবে না

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)। এ ধরণের তথ্য না ছড়ানোর আহবান জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে একটি সংঘবদ্ধ মহল মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য ও সংবাদ প্রচার করছে।

আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সজাগ এবং কঠোর। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান এবং অগ্রযাত্রা ব্যাহতকারীদের সকল ধরণের অপপ্রচার, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা প্রচার বন্ধ করার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানানো হয়।

অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনানুগ সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত যেকোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়ের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আলোচনা করে সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের প্রতি অনুরোধ জানায় জানায় শৃঙ্খলা বোর্ড।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য সচিব ও প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ট্রেজারার অধ্যাপক জালাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হুমায়ুন কবীর, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা শেখ সুজন আলী, অগ্নিবীণা হল প্রভোস্ট সিদ্ধার্থ দে, দোলন চাঁপা হল প্রভোস্ট জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মোরসালিন রহমান শিখর ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেটি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরবর্তীতে সে লিখিতভাবে প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চায় ও শৃঙ্খলা বোর্ডের মিটিংয়ে এবং সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকেও নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। পরে শৃঙ্খলা বোর্ড তাকে ক্ষমা করে দেন।