১১তম গ্রেড: উপহাসের আগে চিন্তা করুন নিজে কতটুকু সক্রিয়

শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি ছাড়া আন্দোলন করে লাভ নেই। একটা উপজেলায় এক হাজার শিক্ষক থাকলে উপজেলায় কোন কর্মসূচি ঘোষণা করলে ১০০ জন (১০%) এর বেশি উপস্থিত হন না। জেলায় কর্মসূচি দিলে ৩০/৪০ (৪%) এর বেশি পাওয়া যায় না।

আর ঢাকায় কোন কর্মসূচি ঘোষণা দিলে ১৫/২০ জনের(২%) বেশি ঢাকায় আসে না। সবাই নানা অজুহাতে ঘরে বসে থাকেন। এমনকি যারা ফেসবুকে আন্দোলন আন্দোলন করেন তাদের অনেককেও (সবাই না) মাঠে দেখা যায় না। ফলাফল, যারা কষ্ট করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তাদেরকে রিক্ত হাতে ঘরে ফিরতে হয়।

কোন সংগঠন কর্মসূচি ঘোষণা করলে ঐ সংগঠনের কর্মীদের যখন উপরমহল হয়রানি করে তখন অধিকাংশ শিক্ষকই নিরব ভূমিকা পালন করেন। আর একটা অংশ শিক্ষকদের হয়রানি করতে উপরমহলকে আরো প্রভাবিত করে। ফলাফল, কর্মসূচি ব্যর্থ এবং নেতাদের কর্মসূচি ভুলে নিজেকে বাঁচাতেই পায়ের স্যান্ডেল ক্ষয় করতে হয়।

তাই দয়া করে, ‘কর্মসূচি কর্মসূচি’ রব তোলার আগে নিজ নিজ জেলায় উপজেলায় ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নে কার্যকরী ও শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তুলুন। কোন কর্মসূচি ঘোষণা হলে প্রতি বিদ্যালয় থেকে উপস্থিতি নিশ্চিত করুন।

নেতাদের উপহাস বা গালি দেওয়ার আগে একবার চিন্তা করুন আপনি নিজে কতটুকু সক্রিয়। জয় হোক সহকারী শিক্ষকদের, জয় হোক ১১ তম গ্রেড এর।

লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি