ছাত্রলীগের কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত হয়নি

গণভবনে দলের এক সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের কমিটির ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন- গতকাল থেকে এমন খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আজ কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়ন বোর্ডে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে কাদের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা ছিল। রংপুরের উপনির্বাচন, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে তাঁরা বসেছিলেন। মনোনয়নে বোর্ডের মিটিংয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, ‘কথা প্রসঙ্গে হয়তো কথা আসে। এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত আকারে কোনো কথা হয়নি। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফোরাম ওটা (বৈঠক) ছিল না। ওখানে ইনসাইডে আমরা অনেক কথাই বলতে পারি, অনেক আলোচনাই করতে পারি। এখানে কোনো কোনো প্রসঙ্গে ক্ষোভের প্রকাশও হতে পারে বা কারও কারও রিঅ্যাকশনও আসতে পারে। কিন্তু অ্যাজ এ জেনারেল সেক্রেটারি অব দ্য পার্টি আমার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা ইমপ্লিমেন্টেশন প্রসেসে যায়। এখানে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে, প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত আকারে কিছু হয়নি।’

ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ কি না? এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, কিছু কিছু ব্যাপারে তো থাকতেই পারে। ছাত্রলীগেরও বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত কিছু কিছু ব্যাপার আছে। সেগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ থাকতেই পারেন, এটা খুব স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী সভায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ কথা বলেছেন কি না? জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘যতক্ষণ এটা সিদ্ধান্ত আকারে না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত এর সত্যতা আমি স্বীকার করব না।’