বাকৃবি ছাত্রলীগে গ্রুপিং, বাড়ছে সংঘর্ষের ঘটনা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বর্তমান ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ প্রায় তিন বছর পার হওয়ায় দেখা দিয়েছে গ্রুপিং। আর এই গ্রুপিংয়ের জের ধরেই কমিটির সদস্যদের মধ্যে প্রায়ই চলছে কথা কাটাকাটি, মারামারি ও সংঘর্ষের মত ঘটনা। শনিবার রাত ৯টার দিকে গ্রুপিংয়ের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে মারামারি এবং শহীদ সামসুল হক হলে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে।

জানা যায়, শনিবার রাতে ফজলুল হক হলের ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির বিপক্ষ গ্রুপের মুনতাসির রাসিব, মজনু রানা, আকাশ রহিম রাজনৈতিক আলাপচারিতা করছিল। এসময় ক্যান্টিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বাকৃবি ছাত্রলীগের সদস্য তাহছিউদ্দৌলা বাপ্পি সেখানে উপস্থিত হলে আলাপচারিতা নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে বাপ্পি হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোহান ইসলাম ও হল কমিটির অন্যান্য কর্মীদের ডেকে নেন। পরে লাঠিসোঠা হাতে দুই গ্রæপের মধ্যেই উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক ও সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মো. আজহারুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে তারা চলে গেলে আবারও তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে।

এদিকে একই রাতে বর্তমান কমিটির বিপক্ষ গ্রুপের সাথে মেলামেশার অভিযোগে শহীদ শামসুল হক হলের দ্বিতীয় বর্ষের চার জন শিক্ষার্থীকে হল থেকে চলে যেতে বলেন কমিটির নেতারা। পরে বিপক্ষ গ্রুপের সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতারা বিষয়টি জানতে পারলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

জানা যায়, বাকৃবি ছাত্রলীগের একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিল। প্রায় তিন বছর হলেও নতুন কমিটি না দেয়ায় তারা মেয়াদোত্তীর্ণ ওই কমিটির বিলুপ্তির দাবি জানিয়ে আসছে বিপক্ষ গ্রুপ। এমনকি গত ২৫ মার্চ কে আর মার্কেটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হয়।

এ বিষয়ে বাকৃবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ বলেন, ঘটনার সময় আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। হলের সিনিয়র জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে হলেই ঘটনাটির মিমাংসা হয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিষয়ে ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। তবে জানার পরে প্রক্টরের সহযোগিতায় তাদের মধ্যে সমঝোতা করা হয়েছে।