কবিরাজের ঝাড়-ফুঁক দেওয়া গুড় খেয়ে স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু

আব্দুর রাজ্জাক

চুরি হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধারের উদ্দেশে কবিরাজের ঝাড়-ফুঁক দেওয়া গুড় খেয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩২) নামে এক স্কুল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

মৃত আব্দুর রাজ্জাক পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ছগির প্রাং এর ছেলে। তিনি সুজানগর আল এহসান একাডেমির শিক্ষক ছিলেন। 

সুজানগর উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকি জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ডায়রিয়া ও বমি হওয়ায় আব্দুর রাজ্জাককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর শনিবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে দাবি করে সুজানগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার ভাই আব্দুল মমিন প্রাং।

জানা যায়, ১৯ আগস্ট আব্দুর রাজ্জাকের ৩ লাখ টাকা চুরি হয়। এ চুরির ঘটনায় আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সাথী খাতুন জড়িত বলে অভিযোগ করেন বাড়ির মালিক মামুন। এ নিয়ে আব্দুর রাজ্জাক ও তার স্ত্রীর ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তারা। এর মধ্যে শুক্রবার দুপুরে মামুন একজন কবিরাজ নিয়ে আসে। ওই কবিরাজ গুড়ে (মিঠাই) ঝাড়-ফুঁক দিয়ে আব্দুর রাজ্জাককে খাওয়ায়। এরপরই মসজিদে আসর ও মাগরিব নামাজ আদায় করার পর বমি ও পাতলা পায়খানা হলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আব্দুর রাজ্জাক।

এ বিষয়ে মামুন দাবি করে বলেন, তার টাকা হারিয়ে যাওয়ার পর একসঙ্গে কবিরাজের ঝাড়-ফুঁক দেওয়া গুড় ১৬ জন খেয়েছে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি।

এ বিষয়ে সুজানগর থানা অফিসার ইনচার্জ শরিফুল আলম বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে।