আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিকের ৩৭ হাজার দপ্তরী

আন্দোলনে নামছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগকৃত ৩৭ হাজার দপ্তরী কাম প্রহরী। সূত্রের তথ্য, প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় মিরপুরস্থ অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান নেবেন তারা। সেখানেই দিনব্যাপী অবস্থানের মধ্য দিয়ে দাবি তুলে ধরবেন।

জানা যায়, অবস্থান কর্মসূচির ব্যপারে ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট থানার অনুমতি চেয়েছেন তারা। শনিবার বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাধন কান্ত বাড়ই ও সাধারণ সম্পদক মো. নাছিন উদ্দিন মোল্লা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই অনুমতি চাওয়া হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত দুটি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করবেন তারা। এর মধ্যে রয়েছে দপ্তরী কাম প্রহরীদের যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি এবং বেতন বৈষম্য নিরসন।

গত সপ্তাহে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী-কাম-প্রহরী পদে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান নীতিমালা আলোকে জনবল নিয়োগের কার্যক্রম পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব মো. আকরাম আল-হোসেন স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে যদি কোনো উপজেলায় সহকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দপ্তরী-কাম-প্রহরী পদে নিয়োগ কার্যক্রম চালু থাকে,  তা বাতিল হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে ২৩ এপ্রিল এক গণবিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী এবং এটি রাজস্ব খাতের কোনো পদ নয়।  এই পদে যারা নিয়োগ পাচ্ছেন তাদের চাকরি স্থায়ী হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবুও এই পদে নিয়োগের জন্য কোনো কোনো ব্যক্তির সাথে আর্থিক লেনদেন করা হচ্ছে। চাকরির জন্য কোনো ব্যক্তি, কর্মকর্তা বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিলে প্রার্থী  চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন। 

সে সময় সতর্ক বার্তায় আরও বলা হয়, এই পদটি সরকারের রাজস্ব খাতের কোনো পদ নয়। এটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী পদ। এই মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে যে, এই পদে নিয়োগের জন্য কোনো কোনো ব্যক্তির সাথে আর্থিক লেনদেন করা হচ্ছে। সম্পূর্ণ অস্থায়ী পদ হিসেবে সৃজিত দপ্তরি-কাম-প্রহরী পদে নিয়োগ লাভের জন্য কোনোরূপ আর্থিক লেনদেন না করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।