লাঞ্ছিত রুয়েট শিক্ষকের পাশে এমপি বাদশা

রাজশাহীতে বখাটেদের হাতে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক রাশিদুল ইসলামের পাশে দাড়িয়েছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনসহ তাকে সহযোগিতায় সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। সোমবার রাশিদুল ইসলামের বাসায় গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, রাজশাহী শান্তির নগরী। এই শহরে বখাটেদের দৌরাত্ম বাড়তে দেওয়া হবে না। ঘটনার খবর শুনেই তিনি রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য বলেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট ঈদের কেনাকাটা করে বাসায় ফিরছিলেন রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম। একদল বখাটে তখন তার স্ত্রীকে ধাক্কা দেন। এ সময় বখাটেদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাশিদুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে অটোরিকশায় চড়ে বসেন। তারপরেও বখাটেরা কটূক্তি করতে থাকে। রাশিদুল ইসলাম এর প্রতিবাদ করলে বখাটেরা রাশিদুলকে মারধর করেন।

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকে কাছে পেয়ে শিক্ষক রাশিদুল ইসলাম বলেন, এই শহরে আমি জন্ম নিয়েছি, পড়াশোনা করেছি। এই শহরে শিক্ষকতা করছি। আর এই শহরেই বখাটেদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হওয়াটা ভীষণ কষ্টের। বখাটেদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, রাজশাহীর সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে হলে সব বড় সড়কগুলোতে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসাতে হবে। তা না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে, কিš‘ অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে না। রাজশাহীর সুনাম তখন নষ্ট হবে। বাইরের জেলা থেকে কেউ এলে অনিরাপদ মনে করবে।

শিক্ষক রাশিদুল ইসলামকে স্বান্তনা দিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, জীবনে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটে। কিš‘ এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। অপরাধীরা যেন শাস্তির মুখোমুখি হয় তার জন্য তিনি সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন।