৫ দফা দাবি ও ১৯ সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে ক্যাম্পাসে জাবি ছাত্রদল

প্রক্টর পাহারায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির আহবানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে আগমন করেছেন। এসময় তারা ক্যাম্পাসে সহবস্থান, মামলা প্রত্যাহার, প্রশাসনিক ও পুলিশি হয়রানী বন্ধসহ ৫ দফা দাবি এবং জাকসু গঠনতন্ত্রের ১৯টি সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ করেন।

মঙ্গলবার (২০শে আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান তার গাড়িতে করে সাভারের রেডিও কলোনী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মো. সোহেল রানা ও সম্পাদক মো. আব্দুর রহিম সৈকতকে নিয়ে প্রক্টর অফিসের সভাকক্ষে আয়োজিত জাকসু প্রস্তুতি কমিটির সভায় উপস্থিত হন।

ঘন্টাব্যাপী এ আলোচনায় ছাত্রদল দাবি করে, যেসকল শিক্ষার্থী রাজনৈতিক কারণে তাদের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম সমাপ্ত করতে পারেনি তাদেরকে পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সুযোগ দিতে হবে এবং জাকসু ভোটার তালিকায় তদের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নির্বাচনের আগে ও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনের শতভাগ সহবস্থান নিশ্চিত করা। সহবস্থান নিশ্চিতের পূর্বে তফসিল ঘোষণা করা যাবেনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচন প্রস্তুতি ও প্রচারনাকালীন সময়ে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও পুলিশি হয়রানী বন্ধ করতে হবে।

এছাড়াও জাকসুর গঠনতন্ত্রে সংশোধনে ছাত্রদল ১৯টি প্রস্তাবনা রাখেন। প্রস্তাবনায় জাকসুতে দপ্তর সম্পাদক, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক, আন্তর্জাতিক সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক, স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবেশ সম্পাদকের পদ তৈরির সুপারিশ করে সংগঠনটি।

এ ব্যাপারে সংগঠনটির সভাপতি সোহেল রানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জাকসু চাই, তবে প্রহসনের নির্বাচন নয়। আজকে আমরা মাত্র একঘন্টা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পেরেছি। আজকে আমাদের যেভাবে পাহারা দিয়ে ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে এটা কোনভাবেই সহবস্থানের বার্তা দেয়না। আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করেই সকল আলোচনা ও নির্বাচনে অংশ নিতে চাই’।

এদিন জাকসু প্রস্তুতি কমিটি ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথেও আলোচনা করেন। আলোচনায় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি প্লাবন তারিক ও সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মাহমুদ অংশ নেয়।