সফরপুর মাদ্রাসায় পুনর্মিলনী ও শোক দিবসের আলোচনা সভা

ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার ৮নং আমিরাবাদের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফরপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সাবেক ছাত্র ঈদ পুনর্মিলনী ও শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় মাদ্রাসা অডিটোরিয়ামে মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র সংস্থা এ আয়োজন করে। এতে মাদ্রাসার প্রায় ৩ শতাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী অংশ নেন।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মাও. মনির আহম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এতে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর, ডিভাইন গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম হাবিবুর রহমান, ৮নং আমিরাবাদ উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির, সিলোনিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাও. গিয়াস উদ্দিন, সফরপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. নুরুল আবছার, প্রাক্তন ছাত্র সংস্থার উপদেষ্টা নুরুল আমিন টিপু, মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু হানিয়া নোমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুর হোসেন ইমন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আজ কোনভাবেই পিছিয়ে নেই। তারা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে সব ধরণের পেশায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি রাসূলের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেন পাশাপাশি যৌতুকসহ সামাজিক বিভিন্ন কুসংস্কার প্রতিরোধে এসব শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

৮নং আমিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির বলেন, অত্র অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে সফরপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা অবদান রেখে যাচ্ছে। এ মাদ্রাসার ছাত্ররা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অধিষ্ঠিত হয়ে দেশ গঠনেও ভূমিকা রাখছে। এ মাদ্রাসার সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এলাকার উন্নয়ন, মাদক দূরীকরণ ও এলাকায় চুরি ডাকাতি প্রতিরোধে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সাধারণ ও মাদ্রাসা উভয় শিক্ষার প্রতি সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার 'আমার গ্রাম, আমার শহর' কর্মসূচির অংশ হিসেবে চিকিৎসা, শিক্ষাসহ আধুনিক শহরের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা এখন গ্রামে বসেই পাওয়া যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতির কারণে সমাজের কোন অংশই এখন আর পিছিয়ে নেই। তিনি মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যেন কেউ সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।