সাগরে নেমে নিখোঁজ রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

নিহত আরিফুল ইসলাম
নিহত আরিফুল ইসলাম

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নিখোঁজ হওয়া রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের মরদেহ পাওয়া গেছে। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। আজ রবিবার সকালে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তার বন্ধু গালিব বিন যাবের।

এর আগে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণি পয়েন্টে নেমে শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিখোঁজ হন দুই ছাত্র। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ বিকেলে উদ্ধার হলেও আরেকজন এখনো নিখোঁজ আছেন।

রফিক আহমদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনারপাড়ায়। তিনি চট্টগ্রামের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিখোঁজ আছেন আরিফুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর রুমালিয়ারছড়ায়। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। ঈদের ছুটিতে তাঁরা কক্সবাজারে এসেছিলেন।

সৈকত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জিললুর রহমান বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আরিফুল ইসলামসহ পাঁচজন তরুণ সৈকতের লাবণি পয়েন্টে গোসল করতে নামেন। বেলা ১১টার দিকে ঢেউয়ের ধাক্কায় তাঁরা গভীর সাগরের দিকে ভেসে যেতে থাকেন। এ সময় লাইফগার্ডকর্মী ও টুরিস্ট পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করেন। তবে আরিফুল ইসলাম ও তাঁর বন্ধু রফিক আহমদ নিখোঁজ হন। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৭০০ মিটার উত্তরে কবিতা চত্বর সৈকতে রফিক আহমদের মৃতদেহ ভেসে আসে। সাগর উত্তাল থাকায় গভীর সাগরে গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নিখোঁজের ঘটনা শোনে সৈকতে হাজির হন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, টুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিললুর রহমানসহ অনেকে। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ সৈকতে নিখোঁজদের অনুসন্ধান কার্যক্রম তদারক করেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত লাইফগার্ড, টুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের উদ্ধারকর্মীরা কয়েক কিলোমিটার সাগরে তল্লাশি চালিয়েও আরিফুলের সন্ধান পায়নি।

জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, বৈরী পরিবেশের কারণে বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল আছে। উত্তাল সমুদ্রে গোসলে নামতে নিষেধ করে সৈকতে একাধিক লাল নিশানা উড়ানো হচ্ছে। তারপরও অনেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তাল সমুদ্রে নেমে বিপদে পড়ছেন।