চলতি মাসেই সুখবর পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

নতুন করে সরকারি হওয়া ২৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আসছে সুখবর। প্রায় দেড় হাজার শিক্ষককে সরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি মাসের শেষের দিকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে ২৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে।

গত বছর এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও বিভিন্ন জটিলতায় শিক্ষকদের সরকারীকরণ করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই চলতি মাসেই এ সংক্রান্ত সভা করে ওই শিক্ষকদের সরকারীকরণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে শিক্ষকদের জাতীয়করণ করতে ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই ট্রাস্কফোর্সের সভা হয়, জাতীয়করণ হওয়া ২৯১টি বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রায় ১৫০০ শিক্ষকের সরকারীকরণ কার্যক্রম আটকে যায়। বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঁচজন করে শিক্ষককে জাতীয়করণ করতে ২৮ আগস্ট সাত সদস্যের ট্রাস্কফোর্স কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।

সভায় যেসব শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত ও যোগ্যতার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের সরকারীকরণের আওতায় আনা হবে। সরকারীকরণ হলে ওই শিক্ষকরা ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বেতন-ভাতার সুবিধা ভোগ করবেন।

এবিষয়ে নিশ্চিত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না পাওয়ায় তৃতীয় ধাপে প্রায় সাড়ে ৫০০ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জাতীয়করণ করা হলেও ২৯১টি বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষককে এ আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। চলতি মাসে এসব শিক্ষককে সরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব শিক্ষকের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাবে সভায় তাদের সরকারীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যেসব বিদ্যালয়-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং অভিযোগ পাওয়া গেলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়করণ স্থগিত থাকবে। তবে মন্ত্রণালয়ে আসা অভিযোগগুলো মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তকাজ শেষ হওয়ার পর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সেসব শিক্ষকদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। তিনটি ধাপে এসব প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়। তৃতীয় ধাপে সারাদেশে ৫৪৯টি বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও মামলা জটিলতা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বিলম্ব, নানা অভিযোগ-আপত্তিসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় এ ধাপে ২৯১টি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারীকরণ করা সম্ভব হয়নি।