দ্বিতীয় শিফটের দায়িত্ব নেবেন না পলিটেকনিক শিক্ষক-কর্মচারীরা

টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-কর্মচারীরা দ্বিতীয় শিফটের দায়িত্ব নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সম্মানী ভাতা দিলেও তা প্রত্যাখ্যান করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন।

সোমবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতি (বাপশিস), বাংলাদেশ পলিটেকনিক শিক্ষক পরিষদ, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষক সমিতি ও পরিষদ এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ও অধিদফতরের কর্মচারী সমিতির যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষকদের কর্মসূচির বিষয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনের আহবান জানানো হয়েছে। আর্থিক বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এর সঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয় জড়িত। শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় শিফটে সম্মানী ভাতার ক্ষেত্রে বর্তমান মূল বেতনের অর্ধেক দেওয়া হতো। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় তা বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে গত ২৯ জুলাই ঘোষণা দিয়ে শিক্ষকরা দ্বিতীয় শিফটে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকেন। এ পরিস্থিতিতে গত ১ আগস্ট থেকে শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করে আসছেন।

এতে সারাদেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শিফটের ২২ হাজার শিক্ষার্থী এবং ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এবছর নতুন ভর্তি হওয়া ২৫ হাজারসহ আগের তিন সেশনের প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

সরকার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করেছে। তবে এক শিফটের শিক্ষক-কর্মচারী দিয়েই ২ শিফট পরিচালনা করা হচ্ছে। এ জন্য এত দিন সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সম্মানী দিয়ে আসছিল এবং তা আরও বাড়ানোর কথা ছিল।

তবে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে ২০০৯ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত ভাতা দেওয়ার কথা জানায়, যা বর্তমান বেতন স্কেলের ২৫ শতাংশ।